আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে বিপাকে পড়েছেন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তার দল কনজারভেটিভ পার্টির একের পর এক জনপ্রতিনিধি জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি নন। সুনাক গেল সপ্তাহে ঘোষণা দেন, আগামী ৪ জুলাই দেশটিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কনজারভেটিভ পার্টি থেকে নির্বাচনে অংশ না নেওয়া সংসদ সদস্যের সংখ্যা বর্তমানে দাঁড়িয়েছে ৭৮-এ।
ঋষির কনজারভেটিভ পার্টিতে মূলত দাবি উঠছিল, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার। কারণ, গত কয়েক মাসে কনজারভেটিভ পার্টির জনপ্রিয়তা ক্রমাগত হ্রাস পেতে থাকে। একের পর এক সমীক্ষায় দেখা যায়, ব্রিটিশ রাজনীতির ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল করতে পারে কনজারভেটিভ পার্টি। এ পরিস্থিতিতে নির্বাচন হলে হার অবধারিত বলেই মত দলের একটা বড় অংশের।
মন্ত্রিপরিষদ সদস্য মাইকেল গোভ ও আন্দ্রেয়া লিডসম আসন্ন নির্বাচনে না দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেনতার মধ্যেই গত শুক্রবার সামাজিক প্ল্যাটফর্মে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মাইকেল গোভ। অন্যদিকে পদত্যাগের ঘোষণার কিছুক্ষণ আগে ঋষি সুনাকের প্রতি লিডসম বলেন, সতর্ক পর্যবেক্ষণের পর আমি ঠিক করেছি, আসন্ন নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াব না।নির্বাচনের দিন ঘোষণার পর থেকেই একের পর এক কনজারভেটিভ এমপি জানিয়ে দেন, আসন্ন নির্বাচনে তাঁরা লড়তে চান না। এছাড়াও অনেক সংসদ সদস্য রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলেছেন। এমন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত সময় কাটানো নিয়ে বেশ গুঞ্জন উঠেছে। সংসদ সদস্যদের গণপ্রস্থানের মধ্যে নির্বাচন প্রচারণার মোক্ষম সময়ে, নির্বাচনের কৌশল নির্ধারণে উপদেষ্টাদের সঙ্গে ঋষি সুনাকের আলোচনায় সময় ব্যয় করাকে কিছুটা অস্বাভাবিক বলছেন অনেকে।