লোকসভার নতুন মেয়াদে রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলীয় নেতা করার প্রস্তাব পাশ করেছে কংগ্রেসের কার্যনির্বাহী কমিটি (সিডব্লিউসি)। জানা গেছে, সিডব্লিউসির সকল সদস্যের সর্বসম্মতিতে পাশ হয়েছে এ প্রস্তাব।
সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরপ্রদেশের রায়বেরেলি এবং কেরালার ওয়ানাড থেকে নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধীকে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা করার প্রস্তাবে কংগ্রেস সাংসদ কুমারী শেলজা বলেন, “সিডব্লিউসি চেয়েছে রাহুল গান্ধী বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত হোক।”
সিডব্লিউসি সর্বসম্মতিতে রাহুল গান্ধীকে লোকসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করেছে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র কংগ্রেস নেতা এবং নবনির্বাচিত সাংসদ কেসি বেনু গোপাল।
শনিবার নয়াদিল্লীর কংগ্রেস কার্যালয়ে কার্যনির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় কংগ্রেস পার্লামেন্টারি পার্টির চেয়ারপারসন সোনিয়া গান্ধী, কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মণীশ তিওয়ারি, ডি কে শিবকুমার এবং রেবন্ত রেড্ডি উপস্থিত ছিলেন।
সিডব্লিউসি প্রস্তাবে লোকসভা নির্বাচনে জয়লাভে রাহুল গান্ধীর প্রচেষ্টা ও নির্বাচনী প্রচারের প্রশংসা করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়, “সাবেক কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর “ভারত জোড়ো” পদযাত্রা আয়োজন ও নেতৃত্ব নির্বাচনে কংগ্রেসের জন্য ঐতিহাসিক সূচনা নিয়ে এসেছে। এই পদযাত্রা কংগ্রেসের কর্মী ও দেশের কোটি কোটি ভোটারের মধ্যে আশা এবং আস্থা স্থাপন করেছেন রাহুল। সে কারনে সংসদে গুরুত্বপূর্ণ আসনটিও তার জন্য বরাদ্দ করা উচিত।”
এর আগে ইন্ডিয়া ব্লকের বিভিন্ন দলও রাহুল গান্ধীকে এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের দাবি তোলে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের পর, প্রায় ১০০ আসনে জয় নিয়ে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে কংগ্রেস। এর পেছনে রাহুল গান্ধির সুসংগঠিত, সুনির্দিষ্ট এবং স্পষ্ট নির্বাচনী প্রচারণা প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।