Monday, December 23, 2024
Home আন্তর্জাতিক বৃহস্পতিবার জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন যুক্তরাজ্যের ভোটাররা 

বৃহস্পতিবার জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন যুক্তরাজ্যের ভোটাররা 

by Hocchetaki
0 comment
বৃহস্পতিবার জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন যুক্তরাজ্যের ভোটাররা 

জাতীয় নির্বাচনের আগে ঋষি সুনাককে শেষ দুইদিনের প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পাড় করতে দেখা যায়। তিনি এই দুইদিনে খাদ্য বিতরণ গুদাম, সুপারমার্কেট, খামার এবং এমন আরও অনেক জায়গায় প্রচারণায় গিয়েছেন। সুনাক জোর দিয়ে বলেন, এই নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এখনও কোনোকিছুই বলা যাচ্ছেনা। এর আগে তিনি বলেছিলেন, ফলাফল যাই হোক না কেন, তিনি স্বচ্ছ রয়েছেন। সুনাক বলেন, তিনি আয়নায় নিজেকে দেখে বলতে পারেন তিনি দেশের স্বার্থে যথাসাধ্য পরিশ্রম করেছেন, এই শক্তিই তাকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

তবে মঙ্গলবার রাতে কনজারভেটিভ সমাবেশে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের শেষ মুহূর্তের প্রেরণামূলক বক্তব্য পার্টির মেজাজ তেমন উজ্জ্বল করতে পারেনি। কনজারভেটিভ মন্ত্রী মেল স্ট্রাইড বলেন বুধবার এই ঘটনা দেখে মনে হচ্ছে লেবার পার্টি বিজয়ের পথে হাটছে।

লেবার পার্টির সমর্থকদের নির্বাচনের ফলাফলে জয় নিশ্চিত বলে ধরে না নিতে সতর্ক করেছে। প্রচারণা শুরু হওয়ার আগে থেকেই দলকে বিভিন্ন জনমত সমীক্ষাগুলোকে ভিত্তি না ধরে রাখতে অনুরোধ করেছেন উর্ধ্বতন নেতারা।

লেবার নেতা কিয়ার স্টারমার তার ছয় সপ্তাহের প্রচারণার সময়, পরিবর্তন নিয়ে আসার লক্ষ্যে তার মধ্য-বামপন্থী দলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।

লেবার দলের প্রতিশ্রুতিগুলো হলো, যেমন মন্দাময় অর্থনীতি পুনরুদ্ধার, অবকাঠামোতে বিনিয়োগ।, যদিও তা জনগণের মধ্যে বেশি উচ্ছ্বাস সৃষ্টি করতে পারেনি। তবে দলটি ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের বৃহৎ অংশের সমর্থন এবং রুপার্ট মারডক-মালিকানাধীন সানডে টাইমস এবং ট্যাবলয়েড দ্য সানের মতো ঐতিহ্যবাহী সংবাদপত্রগুলোর সমর্থন জিতেছে। সান বুধবার একটি সম্পাদকীয়তে বলেছে “সার কিয়ার প্রথমবারের মতো ব্রিটিশ রাজনীতির কেন্দ্রে তার দলকে ফিরিয়ে এনে দায়িত্ব নেওয়ার অধিকার অর্জন করেছেন।”

তবে কনজারভেটিভদের চারপাশে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা ও অব্যবস্থাপনার ছায়া ঘনিয়ে আছে। জনসন এবং তার কর্মীরা কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন লকডাউন লঙ্ঘন করে পার্টি করেছিলেন। জনসনের উত্তরসূরি, লিজ ট্রাস, অর্থনীতিকে দুর্বল করে একটি ব্যয় সংকটকে আরও খারাপ করে তুলেছিলেন। যা তাদের প্রতি ভোটারদের মনোভাবে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

কিন্তু অনেক ভোটারের জন্য, এই অশান্তি শুধু কনজারভেটিভদের নয়, বরং পুরো রাজনীতিকদের প্রতি অনাস্থার প্রতিফলন। ডানপন্থী নাজিল ফারাজ তার রিফর্ম ইউকে পার্টির মাধ্যমে এই অবিশ্বাসের ফাঁক পূরণ করেছেন। তিনি তার অভিবাসন-বিরোধী বক্তৃতার মাধ্যমে শিরোনাম এবং ভোটারদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন।

সিটি ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের আধুনিক ইতিহাসের সিনিয়র লেকচারার লিস বাটলার বলেন, যদি স্টারমার জয়ী হন, আগামী বছরগুলো তার জন্য চ্যালেঞ্জিং হতে পারে।

স্টারমার এব্যাপারে সম্মত হয়েছেন যে তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল-কিছু ভোটারের মনে হচ্ছে, দেশের সব কিছু ভঙ্গুর অবস্থায় আছে। কোনোকিছুই ঠিক করা সম্ভব না এই মনোভাব। আরেকটি চ্যালেঞ্জ হলো, গত ১৪ বছরে দেওয়া অনেক প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ার কারণে রাজনীতির প্রতি জনগণের অবিশ্বাস। তিনি মঙ্গলবার আইটিভিকে বলেন, আমাদের এই ধারণা পরিবর্তন করতে হবে।

অনেক নির্বাচন বিশেষজ্ঞ নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণের হার কম হওয়ার ধারণা করছেন। তবে এই নির্বাচন ব্রিটেনের জন্য একটি বড় পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।

Source: https://apnews.com/article/uk-election-campaign-final-day-starmer-sunak-80c5def5ba76f6077db4230ab4881260

You may also like

Leave a Comment

হচ্ছেটা কী? একটি নিউজ ওয়েবসাইট এখানে আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় সকল আপডেট নিউজগুলো নিয়মিত পাবলিশ করা হয় |

সর্বশেষ খবর

জনপ্রিয় খবর

হচ্ছেটাকী?
হচ্ছেটাকী?