সাবেক ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস ইঞ্জিনিয়ার নিশান্ত আগারওয়ালকে পাকিস্তানের আইএসআই-এর জন্য গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে নাগপুর আদালত। ২০১৮ সালে ব্রহ্মোস মিসাইল সম্পর্কিত স্পর্শকাতর তথ্য পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর কাছে ফাঁস করার অভিযোগে আগারওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেস, ডিআরডিও এবং রাশিয়ার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কনসোর্টিয়ামের মধ্যে একটি যৌথ উদ্যোগ। সংস্থাটিতে একজন সিনিয়র সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন আগারওয়াল। এই যৌথ উদ্যোগে সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইল নিয়ে কাজ করছে ভারত, যা ভূমি, বায়ু, সমুদ্র এবং পানির নিচ থেকে উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে।
অতিরিক্ত সেশন কোর্টের বিচারক এমভি দেশপান্ডে রায়ে জানিয়েছেন, আগারওয়ালকে অপরাধী প্রমাণ করার জন্য যথেষ্ট তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা হয়েছে। তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ (এফ) ধারায় এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের বিভিন্ন ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।
আদালত আগারওয়ালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩,০০০ টাকা জরিমানা করেছেন।
গত এপ্রিলে মুম্বাই হাইকোর্টের নাগপুর বেঞ্চ এই মামলায় আগারওয়ালকে জামিন প্রদান করেছিল।
২০১৮ সালের প্রথমবারের মতো ব্রহ্মোস অ্যারোস্পেসে গুপ্তচরবৃত্তির কেলেঙ্কারি সামনে আসে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সন্দেহভাজন পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তার সাথে নেহা শর্মা এবং পূজা রঞ্জন নামে দুটি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে যোগাযোগ ছিল আগারওয়ালের। অ্যাকাউন্টগুলি ইসলামাবাদ থেকে পরিচালিত হচ্ছিল বলে ধারণা করছে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা।
ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন থেকে ইয়ং সায়েন্টিস্ট পুরস্কার প্রাপ্ত নিশান্ত আগারওয়ালের এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার খবর সহকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।