মধ্যপ্রাচ্যের ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার জেরে শুক্রবার তেলের দাম প্রায় ১% বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা আই.ই.এ. বিশ্ব তেল চাহিদা বৃদ্ধির নিম্নমুখী পূর্বাভাস দিচ্ছে। একই সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার হ্রাসের গতি কমে যাওয়ার উদ্বেগের কারণে তেলের দামে সাপ্তাহিক লোকসান নথিভুক্ত হয়েছে।
ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারস ৭১ সেন্ট বেড়ে প্রতি ব্যারেল ৯০.৪৫ ডলারে বিক্রি হয়েছে। যেখানে মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ফিউচারস ৬৪ সেন্ট বেড়ে ৮৫.৬৬ ডলারে পৌঁছেছে।
সপ্তাহজুড়ে ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তম উৎপাদক ইরান দূতাবাসে ইসরায়েলি যুদ্ধবিমানের হামলার জবাবে প্রতিশোধ নিতে পারে এই আশঙ্কায় তেলের দাম সর্বোচ্চে পৌঁছেছিল। বিশ্লেষকদের মতে, বাজার বর্তমানে নির্ভর করছে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ হামলা চালাবে কিনা সেটির উপর। মধ্যপ্রাচ্যের এই ঘটনা তেল সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার আশংকায় দামকে প্রভাবিত করছে।
আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা ২০২৪ সালের জন্য বিশ্বে প্রতিদিন তেলের চাহিদা বৃদ্ধির পূর্বাভাস ১.২ মিলিয়ন ব্যারেল কমিয়েছে। বিপরীতে, ওপেক বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ২০২৪ সালে বিশ্বে তেলের চাহিদা প্রতিদিন ২.২৫ মিলিয়ন ব্যারেল বাড়বে।
অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসী মূল্যস্ফীতিও বাজারকে প্রভাবিত করছে। ফলে জুনের আগেই সুদের হার কমানোর আশা ক্ষীণ হয়ে আসছে। উচ্চ সুদের হার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে দুর্বল করে দেশটিতে তেলের চাহিদা কমাতে পারে।
Source: https://www.reuters.com/markets/commodities/oil-prices-head-back-up-middle-east-jitters-2024-04-12/