ওকিনাওয়াতে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের দুটি মামলার বিষয়ে টোকিওতে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে অভিযোগ জানিয়েছে জাপান। কয়েক মাসের ব্যবধানে এই আক্রমণগুলো ঘটে যাওয়ার ফলে মার্কিন সামরিক উপস্থিতির বিরুদ্ধে স্থানীয় জনগণের ক্ষোভ আরও বেড়ে চলেছে এলাকাটিতে।
শুক্রবার, জাপানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাসাতাকা ওকানো মার্কিন রাষ্ট্রদূত রাহম ইমানুয়েলের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং ডিসেম্বরে ও মে মাসে ঘটে যাওয়া দুটি আক্রমণের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। জাপানের প্রধান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিমাসা হায়াশি সাংবাদিকদের জানান, “মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের দ্বারা সংঘটিত অপরাধমূলক ঘটনা এবং দুর্ঘটনাগুলো স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ভয় ও উদ্বেগ সৃষ্টি করে, এবং এগুলো কখনোই ঘটা উচিত নয়।”
ওকিনাওয়ার রাজধানী নাহা’র প্রসিকিউটররা এ মাসের শুরুতে, ২১ বছর বয়সী মার্কিন মেরিন কর্পস সদস্যকে অ-সম্মতিসূচক যৌন এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন।
ওকিনাওয়া পুলিশের একজন মুখপাত্র জানান, ভুক্তভোগী নারীকে “মুখে কামড়ানো” হয়েছিল এবং তার সম্পূর্ণ সুস্থ হতে দুই সপ্তাহ সময় লেগেছিল। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তাকে শ্বাসরোধও করা হয়েছিল বলে জানা যায়।
তিন মাস আগে, ওকিনাওয়াতে ২৫ বছর বয়সী মার্কিন বিমান বাহিনীর এক সদস্যকে কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছিল।
কাদেনা এয়ার বেসের ১৮তম উইং কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নিকোলাস ইভানস জানান, তিনি এই অভিযোগের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছেন। এটি যে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে তার জন্য তিনি দুঃখিত।
তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনী স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আদালতের তদন্তের সাথে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবে।