লিবিয়ার উপকূলের ভূমধ্যসাগর থেকে ১১ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ডাক্তার উইথআউট বর্ডার্স-এমএসএফ। শুক্রবার এক বিবৃতিতে এমএসএফ জানিয়েছে, তাদের জিও বারেন্টস উদ্ধার জাহাজ প্রায় নয় ঘন্টা ধরে অনুসন্ধান অভিযান চালানোর পর মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। এসময় অনুসন্ধানের কাজে এমএসএফকে সহায়তা করেছে জার্মান এনজিও সি-ওয়াচ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে দেয়া এক পোস্টে এমএসএফ জানিয়েছে, “এই দূর্ঘটনার প্রকৃত কারণ আমরা জানি না। আমরা শুধু জানি, মানুষ তার নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক পথ বেছে নিচ্ছে। ইউরোপের উচিত তাদের জন্য নিরাপদ ও বৈধ পথ তৈরি করা।” বিবৃতিতে উত্তর আফ্রিকা ও ইউরোপীয় দেশগুলোর অভিবাসন নীতির তীব্র সমালোচনা করেছে এমএসএফ।
অভিবাসী ও শরণার্থী উদ্ধারকারী জার্মান এনজিও সি-ওয়াচ জানিয়েছে, মৃতদেহগুলো কোনো জাহাজডুবির শিকার কিনা তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। লিবিয়ার কোস্টগার্ডকে মৃতদেহগুলো উদ্ধার করতে অনুরোধ করেছিল সংস্থাটি। কিন্তু লিবিয়ার কোস্টগার্ড সি-ওয়াচের আহ্বানে কোনো সাড়া দেয়নি।
আফ্রিকা থেকে ইউরোপে পাড়ি জমানোর প্রচেষ্টায় প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ লিবিয়ায় এসে জড়ো হয়। যুদ্ধ, দারিদ্র্য ও নির্যাতন থেকে বাঁচতে এই পথ বেছে নেয় অভিবাসী ও শরণার্থী প্রত্যাশীরা। পরে পাচারকারীরা ইউরোপে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে অত্যাধিক খরচে তাদের ছোট নৌকা, মাছ ধরার জাহাজে তুলে দেয়। অধিকাংশ জাহাজই মাঝসমুদ্রে উত্তাল সামুদ্রিক পরিস্থিতিতে দূর্ঘটনার শিকার হয়।
এদিকে অবৈধ অভিবাসন প্রবাহ বন্ধে লিবিয়া ও তিউনিসিয়াকে আরও কঠোর ভূমিকা নিতে আহ্বান জানিয়েছে ইতালি। এছাড়াও অবৈধভাবে অভিবাসীদের ইউরোপে যাত্রায় উৎসাহিত করা জাহাজ উদ্ধারকাজে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানায় ইতালি।
শুক্রবার এমএসএফ উদ্ধার জাহাজকে ১৬৫ জন উদ্ধারকৃত অভিবাসনপ্রত্যাশীকে জেনোয়ার উত্তরের বন্দরে নিয়ে যেতে বাধ্য করেছে দেশটি। ফলে উদ্ধারকৃতদের সহায়তা পেতে বিলম্বিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।
ইতালির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে দেশটিতে অবৈধ অভিবাসী আগমনের সংখ্যা কমে ২১,৮০০জনের নিচে এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ে প্রায় ৫৩,৩০০জন ছিল।