ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ডানপন্থী দলগুলোর কাছে হেরে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে বসেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন। সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে আগাম নির্বাচনের ঘোষণায় বেশ চাপেই আছেন ম্যাক্রন। এর মধ্যে গতকাল সোমবার নির্বাচনে জোট গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনায় বসেছে ফ্রান্সের প্রধান দুই ডানপন্থী দল।
রবিবার রাতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনে ম্যাক্রনের লিবারেল রেনেসাঁ পার্টিকে পরাজিত করে আইনসভা নির্বাচনের আহ্বান জানান উগ্র ডানপন্থী নেতা জর্ডান বারডেলা। নির্বাচনে ৩১.৪শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ম্যাক্রনের রেনেসাঁ পার্টিকে টপকে যায় ন্যাশনাল র্যালি। এরপরেই এক ঘোষণায় দুই দফায় আগাম নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন ম্যাক্রন।
ইপি নির্বাচনে চরম ডানপন্থী ন্যাশনাল র্যালির কাছে হারার পরেও ম্যাক্রনের আশা জাতীয় নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী, অভিবাসন বিরোধী ডানপন্থীদের উত্থান থামাতে সমর্থ হবেন তিনি।
রবিবারের ইউরোপীয় ইউনিয়ন নির্বাচনের পর ডানপন্থী রিকনকুয়েস্ট পার্টির প্রধান প্রার্থী মারিয়ন মেরেশাল সোমবার তার আন্টি মেরিন লে পেন এবং ন্যাশনাল র্যালির সভাপতি জর্ডান বারদেল্লার সাথে সম্ভাব্য জোট নিয়ে আলোচনা করার জন্য দেখা করেন।
মেরেশাল এর আগে ন্যাশনাল র্যালির সংসদ সদস্য ছিলেন। সম্পর্কে ন্যাশনাল র্যালি পার্টির প্রতিষ্ঠাতা জিন-মারি লে পেনের নাতনি তিনি। তবে ২০২২ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে রিকনকুয়েস্ট পার্টিতে যোগ দেন মেরেশাল।
ইপি নির্বাচনে মাত্র ৫শতাংশ ভোট পেলেও জাতীয় নির্বাচনে বেশ বড় প্রভাব ফেলতে পারে মেরেশালের দল বলে মনে করছেন অনেকেই।
নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পর থেকেই মেরেশাল তার দলকে ন্যাশনাল র্যালির সাথে জোট গঠনে চাপ দিচ্ছেন। তবে টিভি সাক্ষাৎকারে রিকনকুয়েস্ট পার্টির সাথে জোট হবে কিনা এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানাননি লে পেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বৃদ্ধিতে একাধিক রাজনৈতিক নেতার সাথে দেখা করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।