পাকিস্তান সফরকালে ১০ বিলিয়ন ডলারের লোভনীয় বাণিজ্যিক প্রস্তাব দিয়েছে ইরান। নিষেধাজ্ঞার আশঙ্কায় কিছুটা দ্বিধায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে পাকিস্তান। মার্কিন হুমকি উপেক্ষা করে ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যের ঘোষণা দিয়েছে দেশটি। ইতোমধ্যে, দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি-এফটিএ চূড়ান্তকরণ, জ্বালানি ও বিদ্যুৎখাতে সহায়তা বৃদ্ধিসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সম্মতি জানিয়েছে পাকিস্তান।
ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির পাকিস্তান সফরকালে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক ও বাণিজ্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত আটটি চুক্তি সই হয়েছে। তবে ইরানের সাথে পাকিস্তানের এমন উষ্ণ সম্পর্ক ভালোভাবে নিচ্ছে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের সাথে ব্যবসায়িক চুক্তি সই করায় পাকিস্তানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দিয়েছে তারা।
তবে ওয়াশিংটনের এই হুমকিকে থোরাই কেয়ার করেছে পাকিস্তান ও ইরানের সরকার। এক যৌথ বিবৃতিতে তারা জানিয়েছে, উভয় পক্ষই দ্রুত এফটিএ চূড়ান্ত করতে, বার্ষিক দ্বিপাক্ষিক রাজনৈতিক পরামর্শ ও জয়েন্ট বিজনেস ট্রেড কমিটির পরবর্তী সেশনের জন্যে বৈঠক করতে সম্মত হয়েছে। পাশাপাশি শিগগির যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের ২২তম সভা আয়োজন করতেও একমত পোষণ করেছে।
প্রেসিডেন্ট রাইসির সমাপনী বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু দেশে ‘ইসলাম বিদ্বেষের ক্রমবর্ধমান ঘটনা, পবিত্র কোরআন এবং পবিত্র প্রতীকের অবমাননার’ নিন্দা জানিয়েছে ইরান ও পাকিস্তান। একইসাথে, গাজায় অবিলম্বে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিসহ ইসরাইলি সরকারের অপরাধের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে তারা।
Source: https://www.google.com/amp/s/www.dawn.com/news/amp/1829503