আরববিশ্ব ডেস্ক।।
দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে নতুন যুদ্ধবিরতির আলোচনা করতে গত রোববার মিসরের রাজধানী কায়রোতে যায় হামাসের একটি প্রতিনিধি দল। তবে চারদিন আলোচনা করেও কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে পারেনি তারা। ফলে যুদ্ধবিরতির চুক্তি ছাড়াই কায়রো ছেড়েছে হামাসের প্রতিনিধি দলটি।
পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগে ৪০ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি করার চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সেটি আর সম্ভব বলে মনে হচ্ছেনা।
কায়রোর এ আলোচনায় নিজেদের কোনো প্রতিনিধি পাঠায়নি দখলদার ইসরায়েল। তারা আলোচনার আগে হামাসের কাছে ইসরায়েলের জীবিত ও মৃত ৪০ জিম্মির তালিকা চেয়েছিল। কিন্তু হামাস জানিয়েছে, বোমা হামলার মধ্যে তাদের পক্ষে তালিকা তৈরি করা সম্ভব নয়।
পরে সেই আলোচনায় আর যোগই দেয়নি ইসরায়েলের প্রতিনিধিরা।
নতুন যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাস দাবি জানিয়েছিল, ইসরায়েলকে স্থায়ীভাবে সব হামলা বন্ধ করতে হবে। সাধারণ মানুষকে তাদের বাড়ি-ঘরে ফিরে যেতে দিতে হবে। কিন্তু ইসরায়েল এই শর্তেও রাজি হয়নি।
হামাস প্রতিনিধিরা কায়রো ছাড়ার পর বলেছে, “আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পরামর্শ জন্য আজ সকালে আমাদের প্রতিনিধিরা কায়রো ছেড়েছে। আমাদের জনগণের বিরুদ্ধে আগ্রাসন বন্ধ, বাস্তুচ্যুতদের নিজ বাড়িতে ফিরে যাওয়া এবং ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।”
হামাস আরও জানিয়েছে আগামী সপ্তাহে আবারও যুদ্ধবিরতির জন্য নতুন করে আলোচনা শুরু হবে।
যদি মিসরের এই যুদ্ধবিরতির চুক্তি সফল হতো, তাহলে হামাস ৪০ ইসরায়েলিকে মুক্তি দিত। এর বদলে দখলদার ইসরায়েল গাজায় পর্যাপ্ত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছতে দিত। পাশাপাশি তারা ৪০০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে তাদের কারাগার থেকে মুক্তি দিত।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য এবার জাতিসংঘকে চাপ দিচ্ছে