ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধে প্রতিরক্ষা এবং বেসামরিক খাতে ৬৭ বিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে বলে বৃহস্পতিবার সতর্ক করেছেন ব্যাংক অব ইসরায়েলের গভর্নর আমির ইয়ারন।
এক সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় ইয়ারন বলেন, নিরাপত্তা এবং বেসামরিক খাতের এই বিশাল ব্যয় বাজেটের উপর চাপ সৃষ্টি করবে। এছাড়াও, ভবিষ্যতে নিরাপত্তা বাজেট স্থায়ীভাবে বৃদ্ধি পাবে, যার প্রভাব সমস্ত অর্থনৈতিক ক্ষেত্রের উপর পড়বে বলে সতর্ক করেছেন তিনি। বক্তব্যে সরকারকে বাজেটের সঠিক ভারসাম্য ও সমন্বয় নিশ্চিত করতে আহবান জানান ইয়ারন। এসময় চলমান যুদ্ধের বাহানায় সামরিক বাহিনীকে অপরিকল্পিতভাবে অর্থায়ন করা উচিত নয়, বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধে খরচের এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, যুদ্ধের প্রায় অর্ধেক খরচ ৩২ বিলিয়ন ডলার প্রতিরক্ষা চাহিদা পূরণে প্রয়োজন হবে। এছাড়া, ২০২৫ সাল পর্যন্ত বেসামরিক খাতে ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে, যার মধ্যে সাধারণ জনগণের স্থানান্তর, বাসস্থান প্রদান ইত্যাদি খরচ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর দাবি, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মোট দেশজ উৎপাদনের হিসেবে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যয় কমে গেছে। তাই সেটি পরিবর্তন করে সামরিক খাতে প্রতি বছর অতিরিক্ত ৫.৪ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধির পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
যুদ্ধকালীন বাজেট নিয়ে চলমান বিরোধ অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এবং নেতানিয়াহুর মন্ত্রিসভায় বিদ্যমান উত্তেজনা আরও বাড়িয়েছে। বুধবার অর্থমন্ত্রী স্মোট্রিচের সাথে লম্বা সময় বিতর্কের পর প্রতিরক্ষা ব্যয় পর্যবেক্ষণ করতে একটি কমিটি গঠনে সম্মতি জানান প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইওয়াভ গালান্ট।
মঙ্গলবার ইসরায়েলি দৈনিক হায়ম জানায়, চলমান বাজেটে গাজা যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় ১.৭ বিলিয়ন ডলারের তহবিল আটকে দিয়েছে দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে প্রতিবেদনটিকে ভুয়া সংবাদ বলছেন স্মোট্রিচ। যোগাযোগের পর আইডিএফ বা গালান্ট কেউই এই ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।