হামাসের সিনিয়র নেতা ইয়াহিয়া আস-সিনওয়ার রাফাহতে লুকিয়ে নেই বলে নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি নিয়ে কাজ করা দুই ইসরায়েলি কর্মকর্তা। টাইমস অফ ইসরায়েলকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তারা।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রাফাহতে একটি সম্ভাব্য আইডিএফ অপারেশনকে তার পাবলিক এজেন্ডার শীর্ষে উন্নীত করেছেন। তবে হামাসের নেতৃত্বকে লক্ষ্যবস্তু করা এখনও ইসরায়েলি যুদ্ধের একটি প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে।
রাফাহ ফ্রন্টে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বেশ কিছু সাফল্য পেয়েছে জানায় আইডিএফ। যার মধ্যে রয়েছে, হামাসের সামরিক শাখার ডেপুটি কমান্ডার মারওয়ান ইসাকে হত্যা করা, যাকে গাজায় হামাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে অন্যান্য বেশ কয়েকজন সিনিয়র কমান্ডাররাও নিহত হয়েছে আইডিএফের হামলায়।
কিন্তু সিনওয়ার এবং তার ডেপুটি সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফ এখনো আইডিএফের ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়ে গেছেন। যদিও ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বারবার দাবি করছে, আইডিএফ তাদের দুইজনকে ধরে ফেলার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছে।
টাইমস অফ ইসরায়েলের সাথে কথা বলা দুই কর্মকর্তা নিশ্চিতভাবে বলতে পারেননি যে সিনওয়ার বর্তমানে কোথায় রয়েছেন। তবে সাম্প্রতিক গোয়েন্দা তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তারা জানিয়েছেন, হামাস নেতাকে রাফাহ থেকে প্রায় পাঁচ মাইল উত্তরে খান ইউনিস এলাকায় ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গে রাখা হতে পারে।
নেতানিয়াহু কয়েক মাস ধরে রাফাতে স্থল অভিযান শুরু করার পক্ষে কথা বলছেন। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে ইসরায়েলি আক্রমণের হুমকির কারণে রাফাহ থেকে অনেক হামাস যোদ্ধা উত্তর দিকে পালিয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।