মারা গেছেন রাইসি ও তার সফরসঙ্গীরা!
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানসহ হেলিকপ্টারে আরোহী দুই গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধিকে নিয়ে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারের সবাই মারা গেছেন বলে জানিয়েছে ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যম প্রেসটিভি।
এর আগে বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে উদ্ধারকারী দল। কিন্তু সেখানে কোনো পর্যন্ত কোনো প্রাণের চিহ্ন পাওয়া যায়নি জানায় তারা। এমনকি এই অবস্থায় কারোর বেঁচে থাকার সম্ভাবনাও খুব ক্ষীণ বলছেন বিশেষজ্ঞরা। আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী ইরানের শহর জোলফার পাহাড়ি অঞ্চলের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে হেলিকপ্টারটি।
আজারবাইজানের রাষ্ট্রপতি ইলহাম আলিয়েভের সাথে একটি সমবায় বাঁধ প্রকল্পের উদ্বোধন করে হেলিকপ্টারযোগে দেশে ফিরছিলেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। ইব্রাহিম রাইসির সঙ্গে সফরে ছিলেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রহমাতি এবং পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আলী খামেনির প্রতিনিধি আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে হেলিকপ্টারটি। কারণ এর সাথে থাকা বাকি দুই হেলিকপ্টারে জ্বালানিমন্ত্রী আলী আকবর মেহরাবিয়ান এবং আবাসন ও পরিবহন মন্ত্রী মেহরদাদ বজরপাশ ছিলেন যারা নিরাপদে ফিরে এসেছেন।
উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছে ইরানের রেড ক্রিসেন্টের ৪০টি রেসকিউ টিম। পাশাপাশি প্রতিনিধি দল ও ড্রোন দিয়া সহযোগিতা করছে তুরস্ক ও রাশিয়া। শুরুর দিকে প্রতিকূল আবহাওয়া, কাদামাটির পাহাড় ও রাতের অন্ধকারের কারণে উদ্ধারকাজ চালাতেও বিপাকে পড়েন উদ্ধারকর্মীরা। সকালের দিকে হেলিকপ্টারের পুড়ে যাওয়া অংশের খোঁজ পেয়েছে তারা।
এর আগে ইরানের বেশকিছু গণমাধ্যম প্রেসিডেন্ট রাইসিসহ অন্যদেরকে ‘শহিদ’ ঘোষণা করে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। রাইসির অবর্তমানে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মোখবের।