সোমবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমা দেশগুলিকে সতর্ক করেছেন যে রাশিয়া এবং ন্যাটোর মধ্যে দ্বন্দ্ব যেকোনো সময় যুদ্ধে পরিণত হতে পারে। যদিও কেউ এধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চায়না। রাশিয়া দাবি করেছে যে ইউক্রেনে ইতিমধ্যেই ন্যাটো সামরিক কর্মীরা রয়েছে। যদিও পুতিন তার দাবির পক্ষে কোন প্রমাণ উপস্থাপন করেননি। তবে তিনি পশ্চিমা দেশগুলিকে সতর্ক করেছেন যে ন্যাটোর সরাসরি সামরিক উপস্থিতি অঞ্চলটিতে আরও অস্থিরতা সৃষ্টি করবে।
এদিকে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইউক্রেনে স্থলসৈন্য মোতায়েনের ব্যাপারে বলেছেন, এধরনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যাচ্ছে না। ভবিষ্যতে পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে সৈন্য মোতায়ন করা হবে কিনা। যেখানে বিভিন্ন পশ্চিমা শক্তি আস্তে আস্তে ইউক্রেনের উপর থেকে তাদের সমর্থন কমিয়ে দিচ্ছে, সেখানে ইউরোপের পশ্চিমাঞ্চলের এখনো ইউক্রেনকে তাদের দৃঢ় সমর্থন জানাচ্ছে।
রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে পুতিন জানিয়েছেন, “ইউক্রেনে ন্যাটোর যেকোনো ধরনের পদক্ষেপ তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশঙ্কা আরও বাড়িয়ে দিবে।” পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারেরও ইঙ্গিত দিয়েছেন, যদিও তিনি আশা করছেন এধরনের কোনো পরিস্থিতি ভবিষ্যতে সৃষ্টি হবে না।
পুতিন আরো বলেছেন, তার দেশ এখনো শান্তি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। কিন্তু সেটা হতে হবে দীর্ঘস্থায়ী। কোনোধরনের ক্ষণস্থায়ী শান্তিচুক্তিতে এই অঞ্চলে যুদ্ধের ভয়াবহতা কমে আসবে না। তার মতে, “ফ্রান্সের এখনো সুযোগ আছে যুদ্ধ বন্ধ করতে শক্তিশালী ভূমিকা পালনের। সবকিছু এখনো শেষ হয়ে যায়নি।”
সাক্ষাৎকারে পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন যে রাশিয়া ইউক্রেনের কিছু অংশ নিয়ে একটি বাফার অঞ্চল তৈরি করতে পারে। এটি ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে আরও হুমকির মুখে ফেলবে এবং এ অঞ্চলে বিদ্যমান উত্তেজনা আরো বাড়াবে। পুতিনের এই পদক্ষেপের পরিণতি কী হবে তা ভবিষ্যতই বলে দিবে। তবে পুতিনের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলি ইঙ্গিত দেয় যে রাশিয়া এবং ন্যাটোর মধ্যে উত্তেজনা কমার কোনো লক্ষণ নেই।
Source: Reuters.com