লাস ভেগাসে একটি অ্যাপার্টমেন্টে সোমবার রাতে এরিক অ্যাডামস নামক এক লোকের সাথে তার প্রাক্তণ প্রেমিকার কথা কাটাকাটির ঘটনা ঘটে। যা পরবর্তীতে ঝগড়ায় রূপ নেয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে হামলাকারী গুলি বর্ষণ করতে শুরু করে। এতে ৫ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ জানায়, এঘটনায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরীও গুরুতরভাবে আহত হয়েছে। পুলিশের ধাওয়ার এক পর্যায়ে এ ঘটনার মূল অভিযুক্ত, এরিক অ্যাডামস আত্মহত্যা করে।
পুলিশ জানায়, অ্যাডামস তার প্রাক্তন প্রেমিকার সাথে দেখা করতে গিয়ে ঝগড়া শুরু করে। একপর্যায়ে সে তার প্রাক্তন প্রেমিকার মেয়ের উপর গুলি চালায়। সেই সাথে তার মেয়ের বান্ধবীকেও গুলি করে হত্যা করে। তাদের সাহায্যের জন্য এক প্রতিবেশী যুবক এগিয়ে এলে, তাকেও গুলি করে হত্যা করে অ্যাডামস। প্রতিবেশীকে গুলি করার পর, অ্যাডামস উপরের তলার অ্যাপার্টমেন্টে থাকা প্রতিবেশী যুবকের দাদি এবং মা-কে গুলি করে হত্যা করে। সেই সাথে তার বোনকে আহত করে।
পরে অ্যাডামস তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে গাড়িতে জিম্মি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে তার প্রাক্তন প্রেমিকা ভোরে তার কাছ থেকে পালিয়ে গিয়ে পুলিশের সাহায্য চায়।
মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে, পুলিশ খবর পায় অভিযুক্তকে উত্তর লাস ভেগাসের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দেখা গেছে। পুলিস কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর, অভিযুক্তকে একটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেখতে পান। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে একটি বাড়ির পেছনের আঙিনায় দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ তাকে ধাওয়া করলে, সে অস্ত্র আত্মসমর্পণে অস্বীকৃতি জানায় এবং নিজের কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করে।
ক্লার্ক কাউন্টি করনার অফিস জানিয়েছে, মৃত্যুর সময় অ্যাডামসের বয়স ছিল ৪৮।