হামাস জানিয়েছে তারা এমন কোনো চুক্তি মেনে নিবে না যা গাজায় বিদেশিদের হস্তক্ষেপ নিয়ে আসবে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে হামাস জানিয়েছে তারা এমন কোনো ধরনের পরিকল্পনা কিংবা চুক্তি মেনে নেবে না যা গাজায় ফিলিস্তিনিদের পাশ কাটিয়ে বিদেশী সৈন্যদের হস্তক্ষেপ নিয়ে আসবে। ইসরাইলি সৈন্যদের গাজা ছেড়ে যাওয়ার পর, কিভাবে গাজা শাসন করা হবে তা শুধুমাত্র ফিলিস্তিনিদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এমন কোনো প্রস্তাব কিংবা চুক্তি যা ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতা ও আত্মনির্ভরশীলতায় হস্তক্ষেপ করবে এবং গাজায় বিদেশী সৈন্যদের টেনে আনবে তা কখনোই মেনে নেয়া হবে না।
গত জুনে ওয়াশিংটন পোস্টের এক রিপোর্টে বলা হয় ইসরাইলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াভ গালান্ট তার ওয়াশিংটন সফরে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বলেন জাতিসংঘের একটি পরিচালনা কমিটি গাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। এবং এর তত্ত্বাবধান করবে অন্যান্য আরব দেশগুলো। মিশর, জর্ডান, মরক্কো ও আরব আমিরাতের সেনাবাহিনী নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সেনাবাহিনী গাজার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী তাদের নিয়ন্ত্রণ ও নেতৃত্ব প্রদান করবে।
হামাসের এই বিবৃতি মূলত ইসরাইলের সাথে চলমান সম্ভাব্য যুদ্ধবিরতির বিষয়ে একটি পরোক্ষ আলোচনা। অপরদিকে ইসরাইলের মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া (David Barnea) গতকাল যুদ্ধবিরতি ও বন্দী বিনিময় নিয়ে আলোচলা করতে দোহা পৌঁছেছে। মিশর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র বন্দী বিনিময় ও যুদ্ধ বিরতি চুক্তি কার্যকর করতে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে।