গত ৬জুন শুরু হওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টারি নির্বাচনের ভোটদানের শেষ দিন আজ। শেষদিনে ইউরোপের ২০টি দেশে চলছে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম। এবারের নির্বাচনে ডানপন্থীদের প্রভাব বিশ্বের বৃহত্তম বাণিজ্য ব্লকের ভবিষ্যত দিক নির্ধারণে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
গত বৃহস্পতিবার নেদারল্যান্ডসে ভোটের মাধ্যমে শুরু হয় নির্বাচন কার্যক্রম। ২৭টি ইইউ দেশের সর্বশেষ ভোটকেন্দ্র ইতালিতে স্থানীয় সময় রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। সোমবার আসতে পারে আনুষ্ঠানিক ফলাফল। তবে এর আগেই বুথফেরত জরিপের ফল আসতে পারে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। চারদিনের এই নির্বাচনে মোট ৭২০জন ইপি সদস্যকে প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচন করবেন ভোটাররা।
ইউক্রেন যুদ্ধ, কৃষকদের উপর জলবায়ু নীতির প্রভাব এবং কঠোর অভিবাসন নীতি চলমান নির্বাচনের ভোটারদের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বৃহস্পতিবারের একটি অনানুষ্ঠানিক এক্সিট পোল ইঙ্গিত দিয়েছে, গিয়ার্ট উইল্ডার্সের অভিবাসন বিরোধী কঠোর ডানপন্থী দল নেদারল্যান্ডসে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে থাকতে পারে। তবে ডানপন্থী দলগুলো জয় পেতে থাকলে, আইন প্রণেতাদের জন্য আইন পাস করা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হবে।
গত ইইউ নির্বাচনের পর থেকে হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া এবং ইতালিতে ডানপন্থী দলগুলি নেতৃত্ব দিচ্ছে। এছাড়াও সুইডেন, ফিনল্যান্ড এবং নেদারল্যান্ডসে শাসক জোটের অংশ হিসেবে কাজ করছে ডানপন্থীরা।
মূলত ইউরোপীয় দেশগুলির গুরুত্বপূর্ণ সকল সিদ্ধান্ত নিজেদের বৃহত্তর স্বার্থে পরিচালনা করতেই কাজ করে ইইউ। তবে রাজনৈতিক পার্থক্যের কারণে প্রায়ই ইউনিয়নের চেয়ে নিজ দেশের স্বার্থের উপর জোর দিচ্ছে দেশগুলো।
সাম্প্রতিক জরিপগুলো ইঙ্গিত দিচ্ছে মূলধারা ও ইউরোপপন্থী দলগুলো সংসদে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারে। তবে তাদের আসনগুলোতে বড় ধরনের ভাগ বসানোর চেষ্টায় রয়েছে কঠোর ডানপন্থী দলগুলো। ফলে সোমবার আনুষ্ঠানিক ফলাফল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে আগামী পাঁচ বছরে ইইউ’র ভবিষ্যত জানার জন্য।