সাগরে শুরু হয়েছে ড্রোন যুদ্ধের নতুন যুগ । তবে এই যুগে অন্যান্য দেশের তুলনায় বরাবরই পিছিয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি রয়টার্সে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমনটাই মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকরা।
সাম্প্রতিক সময়ে চীন, রাশিয়া ও ইরানের মতো দেশগুলি অত্যাধুনিক সাগর ড্রোন তৈরিতে সফল হয়েছে। এই ড্রোনগুলি যুদ্ধজাহাজ ও সাবমেরিন আক্রমণে সক্ষম। ফলে, সাগরযুদ্ধের কৌশল ও যুদ্ধনীতিতে আমূল পরিবর্তন আসতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রও সাগর ড্রোন তৈরিতে কাজ করছে ঠিকই, কিন্তু অন্যান্য দেশের তুলনায় তাদের অগ্রগতি ধীরগতির। এতে ভবিষ্যতে সম্ভাব্য যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনী বিপদের সম্মুখীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, চীন ইতোমধ্যেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সমৃদ্ধ সাগর ড্রোন তৈরিতে সক্ষম হয়েছে। এই ড্রোনগুলি নিজেরাই শত্রুপক্ষের জাহাজ চিহ্নিত করে আক্রমণ চালাতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর প্রধান এই পরিস্থিতিতে নতুন কৌশল ও প্রযুক্তি উন্নয়নে জোর দিচ্ছেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় তাদের স্বয়ংক্রিয় যানের ক্ষেত্রে কিছুটা পিছিয়ে আছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। তবে, এই ক্ষেত্রে দ্রুত উন্নতি করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে তারা।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সমুদ্রযুদ্ধের ক্ষেত্রে স্বয়ংক্রিয় যানের ব্যবহার নিয়ে নানা রকম আশঙ্কাও রয়েছে। যেমন, যান্ত্রিক ত্রুটি বা হ্যাকিংয়ের ফলে এই ড্রোনগুলি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপজ্জনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
Source : https://www.reuters.com/business/aerospace-defense/sea-drone-warfare-has-arrived-us-is-floundering-2024-05-06/