শনিবার জিম্মি উদ্ধার অভিযানের নামে পুরো গাজা জুড়ে তীব্র আক্রমণ চালিয়েছে ইসরায়েল। গাজা উপত্যকার কেন্দ্রীয় অঞ্চল দেইর আল-বালাহ এবং নুসেইরাত, দক্ষিণে রাফা এবং উত্তরে গাজা সিটির বিভিন্ন এলাকায় প্রচুর বিমান হামলা হয়েছে। আকাশ, স্থল এবং সমুদ্রপথে তীব্র হামলায় এখনো পর্যন্ত ২১০ জনেরও মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
এক বিবৃতিতে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, হামলায় নিহত ও আহতদের বড় একটি অংশকে আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে, যার অধিকাংশই শিশু এবং নারী। চিকিৎসার অভাবে অনেকেই মাটিতে শুয়ে আছে। হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাথমিক চিকিৎসা সরঞ্জাম দিয়ে গুরুতর আহতদের বাঁচানোর চেষ্টা করছেন। ঔষুধ ও খাবারের তীব্র সংকটের পাশাপাশি, জ্বালানির অভাবে প্রধান জেনারেটরও কাজ বন্ধ করে দিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।
এমএসএফের চিকিৎসক ডক্টর তানিয়া হাজ-হাসান আল জাজিরাকে বলেন, পুরো আল আকসা হাসপাতালকে যেন কসাইখানা মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে রক্তের বন্যা বইছে হাসপাতাল জুড়ে।
নুসেইরাতে হামলা শেষে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে জানায়, আইডিএফ নুসেইরাত এলাকায় সন্ত্রাসী অবকাঠামো লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে। পরে নুসেইরাতে পরিচালিত অভিযানে আইডিএফ চার ইসরায়েলি বন্দিকে উদ্ধার করার তথ্য দেয়। হামাসের নেতৃত্বাধীন ৭ অক্টোবরের হামলায় গাজায় নিয়ে যাওয়া এই চারজন ভাল অবস্থায় আছেন বলে সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
এছাড়াও গাজার কেন্দ্রীয় অংশের বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে সকালে ইসরায়েলি বাহিনীর গোলাবর্ষণে অন্তত ছয়জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যারা সবাই একই পরিবারের সদস্য ছিলেন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস শনিবারের হামলার প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে এক জরুরি অধিবেশন আহ্বান করেছেন।
Source: https://www.aljazeera.com/news/2024/6/8/many-casualties-as-israel-escalates-attacks-across-gaza