ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়ার দায়ে বলিভিয়ার সেনা ও নৌবাহিনীর সাবেক প্রধানসহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য তারা বলিভিয়ার বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইস আরসকে উৎখাত করার জন্য একটি ব্যর্থ সামরিক অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে, লা পাজে স্বল্পস্থায়ী বিদ্রোহের প্রায় ১২ ঘণ্টা পরে, বলিভিয়ার সরকারের মন্ত্রী এডুয়ার্ডো ডেল কাস্তিলো, প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেনারেল জুয়ান জোসে জুঞ্জিগা ম্যাসিয়াস এবং নৌবাহিনীর সাবেক প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল জুয়ান আর্নেজ সালভাদরকে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের দায়ে অভিযুক্ত করেন। তিনি আরও বলেন এই অভিযুক্তরা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। ডেল কাস্তিলো স্থানীয় টিভি চ্যানেল ইউনিটেলকে বলেন, তাদের অপরাধ বিবেচনায় ১৫ থেকে ৩০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
মন্ত্রী দাবি করেছেন ষড়যন্ত্রকারীরা কমপক্ষে তিন সপ্তাহ ধরে গণতন্ত্র ধ্বংসের চেষ্টা করে আসছিলেন, এর আগে নিরাপত্তা বাহিনী বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে লা পাজের ঐতিহাসিক প্লাজা মুরিলো দখল করে এবং প্যালাসিও কেমাডো নামে পরিচিত সরকারি প্রাসাদে জোরপূর্বক প্রবেশ করে।
বুধবার রাতে আটক হওয়ার আগে, জুয়ান জোসে জুঞ্জিগা সাংবাদিকদের বলেছিলেন তার লক্ষ্য ছিল একটি সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা।
বুধবারের সংক্ষিপ্ত বিদ্রোহটি মাত্র তিন ঘন্টা স্থায়ী হয়েছিল। জানা যায় ১২ জন আহত হয় সে ঘটনায়। দেশটি ১৮২৫ সালে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১৯০টি বিপ্লব এবং অভ্যুত্থানের সাক্ষী হয়েছে।
আটক হওয়ার মুহূর্তে জুয়ান জোসে জুঞ্জিগার মন্তব্য অভ্যুত্থান নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়িয়েছে। জুয়ান জোসে জুঞ্জিগা বলেন, প্রেসিডেন্ট আমাকে বলেছিলেন পরিস্থিতি খারাপ তাই তার জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য কিছু প্রয়োজন। তাই এই অভুত্থানের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে।
বলিভিয়া একটি স্থলবেষ্টিত দেশ। দেশটি বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সেই দেশটির গ্যাস রপ্তানি হ্রাস পাচ্ছে এবং সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে।
Source: https://www.theguardian.com/world/article/2024/jun/27/heads-of-bolivias-army-and-navy-sacked-and-arrested-over-failed-coup