Table of Contents
সম্প্রতি নিউ ইয়র্কের এক আদালতে ‘হাশ মানি’ মামলায় ৩৪টি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ১১জুলায় মামলার রায় হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর বাইরেও আরও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আরো ৩টি ফৌজদারি ও বেশ কয়েকটি দেওয়ানি মামলা চলছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন আদালতে। ফলে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারণায় সৃষ্টি হচ্ছে নানাবিধ চ্যালেঞ্জের।
নিউ ইয়র্কের পাশাপাশি ফ্লোরিডা, জর্জিয়া এবং ওয়াশিংটন ডিসিতে ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে ট্রাম্পকে। যদিও নির্বাচনের আগেই সবগুলো মামলাগুলো বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট মামলা
নিউ ইয়র্ক মামলায় প্রতি অভিযোগে ট্রাম্প সর্বোচ্চ চার বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড পেতে পারেন ট্রাম্প। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রথমবার হওয়ায় কারাদণ্ডের পরিবর্তে জরিমানা করার সম্ভাবনাই বেশি। তবে ফ্লোরিডায় ফেডারেল ক্লাসিফাইড ডকুমেন্ট মামলায় ২০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের মুখোমুখি হতে হবে ট্রাম্পকে।
গত বছর ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৭টি ফেডারেল অভিযোগ আনা হয় ফ্লোরিডার আদালতে। যেখানে অভিযোগ করা হয়, ট্রাম্প ফ্লোরিডায় নিজের সোশ্যাল ক্লাবে অত্যন্ত সংবেদনশীল জাতীয় নিরাপত্তা তথ্য অবৈধভাবে রেখেছিলেন এবং তা লুকানোর চেষ্টারত ছিলেন। ট্রাম্প এসব অভিযোগ অস্বীকার করে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। ২০মে মামলার বিচারকার্য শুরুর হওয়ার কথা থাকলেও, বিচারক এইলিন ক্যানন মামলাটিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছেন।
ফেডারেল নির্বাচনী হস্তক্ষেপ মামলা
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২০সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে অবৈধভাবে ব্যাহত করার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেন বিশেষ উপদেষ্টা জ্যাক স্মিথ। সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের আপিল বিচারাধীন থাকায় নির্বাচনের আগে এই মামলার কার্যক্রম করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট যদি ট্রাম্পের পক্ষে রায় দেয় তাহলে বাতিল হবে এই মামলা।
জর্জিয়া নির্বাচনী হস্তক্ষেপ মামলা
জর্জিয়ায় ফাল্টন কাউন্টির জেলা অ্যাটর্নি ফানি উইলিস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ১০টি ফৌজদারি অভিযোগ এনে ২০২৩সালের আগস্টে মামলা করেন। মামলাটির এখনও পর্যন্ত বিচার শুরুর তারিখ নির্ধারিত হয়নি। অপরাধ প্রমাণিত হলে এই মামলায় সর্বনিম্ন ৫ থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের সাজা পেতে পারেন ট্রাম্প।