বাস্তুচ্যুত হয়ে গাজার আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে আশ্রয় নেয় ১২ বছর বয়সি ফিলিস্তিনি বালক জাকারিয়া এস-সেরসেক। হাসপাতালের ডাক্তার ও নার্সদের অনবরত চিকিৎসা সেবা প্রদানের কর্মতৎপরতা দেখে নিজের ইচ্ছায় সেখানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ শুরু করেন জাকারিয়া।
আলজাজিরার প্রতিবেদককে জাকারিয়া বলেন, “আমি ডাক্তারদের কাছ থেকে সবকিছু শিখেছি। আমি জানি কোথায় কী থাকে। সবকিছুর প্রয়োজনও মুখস্থ করেছি। এখন আমি ক্যানুলা করতে পারি, আইভি ফ্লুইড দিতে পারি।”
আল-আকসা শহীদ হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ ইয়াদ আবু জাহের জাকারিয়ার স্বেচ্ছাশ্রমকে মহৎ ও বীরত্বপূর্ণ বলে আখ্যায়িত করেন। তিনি বলেন, “জাকারিয়া হাসপাতালের নার্স ও ডাক্তারদের সাহায্য করেন। এই হাসপাতালের চিকিৎসাকর্মীরা ১৭০ দিনেরও বেশি সময় ধরে একটানা কাজ করছে। হতাহতের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদের অতিরিক্ত কাজ করতে হচ্ছে। জাকারিয়া নিজেই বাস্তুচ্যুত শিশু। কিন্তু হাসপাতালের ডাক্তার এবং মেডিকেল টিমকে চব্বিশ ঘন্টা কাজ করতে দেখে সে নিজেও এখন তাদের সহযোগিতা করছে।”
জাকারিয়া এস-সেরসেক বড় হয়ে ডাক্তার হতে চান। তিনি বলেন, “আমি যখন বড় হব, তখন ডাক্তার হব। আশা করি যুদ্ধ শেষ হলে সেটি সম্ভব হবে। আমরা শিশুদের জন্য ভীত। বোমা হামলার কারণে তাদের ভয়ে কাঁপতে দেখে মন খারাপ হয়। ইনশাআল্লাহ, আশা করি আমরা নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারব।”