শনিবার রাতে ভারতের পুনেতে দ্রুতগামী পোর্শের চাপায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৭বছর বয়সী এক কিশোরকে। শাস্তি হিসেবে সেই কিশোরকে ১৫দিন ইয়ারওয়াদায় ট্রাফিক পুলিশের সাথে কাজ করতে হবে আর দুর্ঘটনার উপর লিখতে হবে একটি প্রবন্ধ। সেই সাথে মাদক পরিহারে কাউন্সিলিং নেয়ারও আদেশ দিয়েছে আদালত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘন্টায় ২০০ কিমি বেগে চলা পোর্শে গাড়িটি মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। কোনো নাম্বারপ্লেট লাগানো ছিল না গাড়িতে। ধাক্কার পর মোটরসাইকেল আরোহী অশ্বিনী বাতাসে ছিটকে প্রায় ২০ ফুট উঁচু থেকে পড়ে যান। অপর আরোহী অনীশ পাশে পার্ক করা গাড়িতে গিয়ে আঘাত করেন। ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরপর পালিয়ের যাওয়ার সময় গাড়ির ড্রাইভারকে আটক করে স্থানীয় জনতা। গাড়ির অপর আরোহী সেখান থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। দূর্ঘটনার ১৫ মিনিটের মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে।
পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার অভিযুক্তকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে বিবেচনা করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করেছিলেন। তিনি বলেন, “এটা পরিষ্কার যে ছেলেটি মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল।” এঘটনায় পুলিশ একটি এফআইআর নথিভুক্ত করেছে।
আদালতের এই রায়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে সুশীল সমাজে। বেপোরায়া গাড়ি চালানোর জন্য দেশটির শিথিল আইনকে দায়ী করছেন অনেকে। পথ নিরাপত্তার জন্য কাজ করে এমন একটি এনজিওর সভাপতি অনুরাগ কুলশ্রেষ্ঠ এনডিটিভিকে বলেন, “আমাদের সমাজে এখন আইনের ভয় নেই। পুনেতে যখন কর্তৃপক্ষ হেলমেট বিধি চালু করার চেষ্টা করেছিল, তখন সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রতিবাদে নেমেছিল। আমরা একটি শৃঙ্খলাহীন সমাজে জীবনযাপন করছি।”