ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে ইরানপন্থী হিজবুল্লাহ গ্রুপের কমান্ডার ইসমাইল আলি আল-জেইনের মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে। ৩১মার্চ এই হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। কমান্ডারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে হিজবুল্লাহ।
ইসরায়েলি বাহিনী বলছে, ইসমাইল আলি আল-জেইন হিজবুল্লাহর অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল ইউনিটের কমান্ডার ছিলেন। রবিবার একটি ইসরায়েলি জেট দক্ষিণ লেবাননের কাউনিন গ্রামে একটি গাড়িতে আঘাত হানে। এই হামলাতেই ইসমাইল আল-জেইন নিহত হয়েছেন।
আইডিএফ টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি পোস্টে জানিয়েছে, “হিজবুল্লাহর অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র সম্পর্কিত সকল জ্ঞানের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস ছিলেন আল-জেইন।” আইডিএফ ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক হত্যা এবং নিরাপত্তা বাহিনীর বিরুদ্ধে কয়েক ডজন অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জন্য দায়ী করে তাকে।
লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলের মাধ্যমে জারি করা একটি বিবৃতিতে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি তাদের কমান্ডার ইসমাইল আলী আল-জেইনকে “শহীদ” হিসেবে সম্বোধন করেছে। হিজবুল্লাহ সহজে তাদের যোদ্ধারা কোথায় এবং কখন নিহত হয় তা প্রকাশ করেনা। তাই ধারণা করা হচ্ছে আল-জেইন সংগঠনটির কোনো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করতেন।
হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ওই এলাকায় আরও হামলার দাবি করেছে। এসংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজও প্রকাশ করেছে আইডিএফ। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ফাইটার জেটগুলি মেইস আল-জাবাল এবং ব্লিদায় হিজবুল্লাহর বেশ কয়েকটি “সামরিক ভবন” আক্রমণ করছে। মারকাবায় যে অবস্থান থেকে হিজবুল্লাহ রকেট ছোড়া হয়েছিল এবং কাফার কিলায় একটি পর্যবেক্ষণ পোস্টে বিমান হামলার দাবি করেছে আইডিএফ।
হিজবুল্লাহও আল-মানারায় ইসরায়েলি সৈন্যদের একটি সমাবেশকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। গোষ্ঠীটি দাবি করছে ক্ষেপণাস্ত্রটি সরাসরি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম হয়েছে।
Source: https://aje.io/das33y