সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানের দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। সিরিয়া বলছে, এই হামলার ঘটনায় তিন সামরিক কর্মকর্তাসহ সাতজন নিহত এবং একাধিক আহত হয়েছে। আইআরজিসি সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইআরজিসির অভিজাত কুদস ফোর্সের সিনিয়র কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ রেজা জাহেদি এবং তার ডেপুটি জেনারেল মোহাম্মদ হাদি হাজরিয়াহিমি হামলায় নিহত হয়েছেন।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এই হামলাকে “সকল আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা এবং চুক্তির লঙ্ঘন” হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, “দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে হামলার ঘটনা প্রমাণ করে গাজায় ইসরায়েলি শাসন প্রতিষ্ঠায় ব্যর্থ দেশটি। এই পদক্ষেপ ইহুদিবাদীদের উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থতার ফলাফল।”
একটি পৃথক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি বলেছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কী ধরনের “প্রতিক্রিয়া ও শাস্তি” প্রয়োজন, তা ইরান সিদ্ধান্ত নেবে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল মেকদাদ হামলার ঘটনায় সিরিয়ার তরফ থেকে নিন্দা জানান। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা-তে দেওয়া এক বিবৃতিতে মেকদাদ বলেন, “এটি একটি সন্ত্রাসী হামলা। কোনো ধরনের প্রমাণ ছাড়াই অনেক নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে।” তবে ইসরায়েলের বিমান হামলা ইরান ও সিরিয়ার সম্পর্ককে প্রভাবিত করতে পারবে না বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাশিয়া পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলকে দায়ী করে এক বিবৃতিতে বলেছে, “আমরা সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলার মিশনের বিরুদ্ধে এই অগ্রহণযোগ্য হামলার তীব্র নিন্দা করছি।”
ইরানি দূতাবাসে হামলার বিষয়ে আইডিএফের সামরিক মুখপাত্র কোনো ধরনের মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানায়।