লেবানন থেকে সিরিয়ান শরণার্থীদের অনিয়মিত আগমনের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছে সাইপ্রাস। সম্প্রতি সিরীয় শরণার্থীদের সাইপ্রাসে পৌঁছানোর সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
সাইপ্রাসের রাষ্ট্রপতি নিকোস ক্রিস্টোডুলাইডস মঙ্গলবার এ ব্যাপারে তীব্র উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে সিরিয়ান আশ্রয়প্রার্থী ও শরণার্থীদের অনিয়মিত আগমন হতাশাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মাত্র দুই দিনের মধ্যেই ৩৫০ জনেরও বেশি মানুষ সাইপ্রাসে এসেছে।”
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সভাপতি রবার্তা মেৎসোলার সঙ্গে এক বৈঠকের পর ক্রিস্টোডুলাইডস বলেন, “লেবানন যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে আমি তা পুরোপুরি বুঝতে পারছি। কিন্তু অভিবাসীদের সাইপ্রাসে পাঠানো কোনো সমাধান হতে পারে না, এটা মেনে নেওয়া যায় না।”
ভূমধ্যসাগরের পূর্বতম দেশ সাইপ্রাস, সিরিয়া ও লেবাননের মাত্র ১৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সাম্প্রতিক মাসগুলিতে, বিশেষ করে সিরিয়ার শরণার্থীদের আগমন উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত লেবাননে প্রায় আট লাখ জাতিসংঘ-নিবন্ধিত সিরিয়ান শরণার্থী রয়েছে। তবে কর্মকর্তারা অনুমান করছেন যে প্রকৃত সংখ্যাটি আরও অনেক বেশি, যা প্রায় ১৫ থেকে ২০ লাখের মধ্যে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (ইউএনএইচসিআর) তথ্য অনুযায়ী, লেবাননের প্রায় ৯০ শতাংশ সিরিয়ান শরণার্থী চরম দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে।