গত ১ এপ্রিল দামেস্কে দুই জেনারেলসহ ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের সাত সদস্যকে হত্যাকারী ইসরায়েলের উপর প্রতিশোধের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইরান। ফলে বিদ্যমান গাজা যুদ্ধের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যে সর্বাত্মক আঞ্চলিক যুদ্ধের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান কাতার, সৌদি, আমিরাত, ইরাক এবং জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সাথে ফোনে কথা বলেন। জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা আমীর-আব্দুল্লাহিয়ানের সাথে আলোচনায় বলেন, “সবার স্বার্থে আঞ্চলিক উত্তেজনা এড়াতে হবে। বার্লিন এই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠান জন্য সব পক্ষের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত আছে।”
ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের ইরানের মিশন এক বিবৃতি প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ যদি ইসরায়েলের হামলার নিন্দা করত তাহলে দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি বিমান হামলার বিপরীতে যেকোনো ইরানি সামরিক প্রতিক্রিয়া এড়ানো যেত।
এদিকে গাজা যুদ্ধের বাইরে অন্যান্য যেকোনো প্রতিকূলতার জন্য প্রস্তুত আছে ইসরায়েল। মধ্য ইসরায়েলে একটি বিমানঘাঁটিতে পরিদর্শনের সময় ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই হুমকি দেন। ইরান ও অন্যান্য প্রতিপক্ষকে সতর্ক করে নেতানিয়াহু বলেন, “আমরা একটি সহজ নিয়ম নির্ধারণ করেছি। যে আমাদের ক্ষতি করবে, আমরা তাদের ক্ষতি করব। আমরা প্রতিরক্ষামূলক এবং আক্রমণাত্মক উভয়ভাবেই ইসরায়েল রাষ্ট্রের সমস্ত সুরক্ষা চাহিদা মেটাতে প্রস্তুত।”