মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামলে শান্তি আনতে চায় ইরান। আর তাতে পাকিস্তানের সঙ্গ চায় প্রতিবেশী দেশটি। দুই দেশের সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের জেরে মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে বলে বিশ্বাস ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসির।
সোমবার পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনিরের সাথে বৈঠক করেন ইরানি প্রেসিডেন্ট। এসময় রাইসি বলেন, “ইরান ও পাকিস্তান, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যেকার সহযোগিতা জোরদার করে, দুই দেশ এবং সমগ্র অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে সক্ষম হবে।”
পাশাপাশি, এই সম্পর্ক উন্নয়নে দুই দেশের সীমান্ত সংঘাত এড়ানো সম্ভব। তাই, আঞ্চলিক শান্তি এবং সীমান্ত নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে নতুন চুক্তি করার ভাবছে দেশ দুইটি। আলোচনায় দুই পক্ষই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে সহযোগিতার বিষয়ে মত বিনিময় করেছে।
বৈঠকে জেনারেল সৈয়দ আসিম মুনির ইরান-পাকিস্তান সীমান্তের নিরাপত্তার উপর জোর দেন। এক্ষেত্রে দুই দেশের সমন্বিত প্রচেষ্টাকে বাড়াতে বলেন তিনি। সন্ত্রাসীরা যাতে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ককে বিপন্ন করতে না পারে, সেজন্যে সতর্ক থাকার আহ্বান করেন তিনি।
চলমান সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট পাকিস্তানের সঙ্গে ১০ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন। রাইসি বলেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্কের স্তর রাজনৈতিক সম্পর্কের স্তরের সমান নয়। গত আগস্টে দেশ দুটি ৫ বিলিয়ন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল।
পাকিস্তানে ইরানের প্রাকৃতিক গ্যাস রপ্তানির জন্য একটি পাইপলাইন নির্মাণের পরিকল্পনা যুক্তরাষ্ট্রের বিরোধিতার কারণে স্থবির হয়ে রয়েছে। রাইসির এই সফরে পাকিস্তান-ইরান গ্যাস পাইপলাইন নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
সোর্স: https://www.presstv.ir/Detail/2024/04/23/724203/Iran-Pakistan-role-regional-peace