পারস্য উপসাগরে অবস্থিত ‘আবান’ এবং ‘ডারখোয়িন’ নামের গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে দীর্ঘদিনের বিবাদ চলছে ইরান ও কুয়েতের মধ্যে। আর এই গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে প্রায়শই বাকযুদ্ধ চলে দুই দেশের মধ্যে।
সম্প্রতি, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সৈয়দ আব্বাস মুসাভি বলেছেন, কুয়েতের পক্ষ থেকে গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে বারবার বক্তব্য দেওয়া তাদের কোনো অতিরিক্ত অধিকার করে দেবেনা। বরং এই বিষয়ে আলোচনা এবং এর সমাধান কেবল দ্বিপক্ষীয়ভাবেই সম্ভব।
মুসাভি সাংবাদিকদের এক ব্রিফিংয়ে জানান, কুয়েত কর্তৃক গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে বারবার বক্তব্য দেওয়া কোনো ফলদায়ক তো হবেই না বরং সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এই সমস্যার সমাধান চাইলে সেটি ইরানের সম্মতিতেই করতে হবে এবং এই বিষয়ে কেবল দ্বিপক্ষীয় আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ইরান আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলে এবং এই ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক আইন মেনেই সমস্যা সমাধান করতে আগ্রহী। এর আগে কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আহমদ নাসের আল-সাবাহ জানিয়েছিলেন, তার দেশ আবান ও ডারখোয়িন গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করার বিষয়টি বিবেচনা করছে।
অপরদিকে, কুয়েতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমেদ আল-নায়েব দৃঢ়কন্ঠে জানিয়েছেন, কুয়েত এই গ্যাসক্ষেত্রের ওপর তার অধিকার নিয়ে অটল। তবে, কূটনৈতিক সমাধানের পথে এগোতে আগ্রহী কুয়েত সরকার। ইরান ও কুয়েত উভয় দেশই আঞ্চলিক সহযোগিতার গুরুত্বের কথা স্বীকার করলেও, গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে বিরোধের ফলে পারস্য উপসাগের নিরাপত্তা পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ের মধ্যস্থতা ও জাতিসংঘের সনদের প্রতি সম্মান জানিয়েই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই বিবাদ মেটাতে পারলে পারস্য উপসাগের দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার বন্ধন আরও মজবুত হবে বলেও আশা করা হচ্ছে।
Source: https://www.presstv.ir/Detail/2024/05/01/724737/Iran-Kanaani-Kuwait-claims-Arash-gas-field