হামাস নেতা, ইসমাইল হানিয়াহ, গাজায় প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির বিষয়ে মিশর এবং কাতারের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করছেন। এই অঞ্চলে চলমান সহিংসতা ও উত্তেজনার মধ্যেই এই আলোচনা সংঘটিত হতে চলেছে। হানিয়াহ মিশরের গোয়েন্দা প্রধান আব্বাস কামেল এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানির সাথে একান্তে যোগাযোগ করেছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে মিশর এবং কাতার উভয়ই হামাস এবং ইজরায়েলের মধ্যে আলোচনায় সক্রিয়ভাবে মধ্যস্থতা করছে।হামাস মিশরের মধ্যস্থতার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে এবং যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করার জন্য জোর দিয়েছে। গাজার জনগণের বিরুদ্ধে সহিংসতা ও আগ্রাসন বন্ধ করার লক্ষ্যে আলোচনা চালিয়ে যেতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দল শীঘ্রই মিশর সফর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।হামাস একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পাশাপাশি গাজা থেকে ইজরায়েলি সৈন্যদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার এবং বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে তাদের বাড়িতে বিনা বাধায় প্রত্যাবর্তনের সুযোগ প্রদানের শর্তারোপ করেছে। অন্যদিকে, ইজরায়েলের যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাবে ৪০ দিনের জন্য যুদ্ধে সাময়িক বিরতি এবং বন্দীদের বিনিময় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যা হামাস মনে করে যথেষ্ট নয়।মিশর যুদ্ধবিরতির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এবং গাজায় চলমান ইজরায়েলি হামলা সত্ত্বেও আলোচনার সুবিধার্থে নতুন করে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজায় স্থল সেনা পাঠানোর হুমকি দেয়ায় পরিস্থিতি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। সহিংসতার ফলে এখন পর্যন্ত এই অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
হামাস নেতা হানিয়েহ এর যুদ্ধ বিরতি আলোচনাহামাস নেতা হানিয়েহহামাস নেতা হানিয়েহ এর যুদ্ধ বিরতি আলোচনা
56
previous post