কোভিড ১৯ ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট নতুন মহামারী সংক্রমণ সৃষ্টি করার মতো শক্তিশালী নয় বলে জানিয়েছে চীনের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। কারণ হিসেবে স্থানীয় সংক্রমণের নিম্নমুখী প্রভাবের হারকে তুলে ধরেছে দেশটি।
কোভিড ১৯ এর অতি সংক্রামক ওমিক্রনের একটি নতুন রূপ কেপি-টু জানুয়ারির প্রথম দিকে ভারতে শনাক্ত হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রেও শনাক্ত হয় ভাইরাসের এই ভ্যারিয়েন্টটি। চীন গত মার্চ মাসে গুয়াংডং প্রদেশে প্রথম কেপি-টু ভ্যারিয়েন্ট সংক্রমণ শনাক্ত করে। ১২ মে পর্যন্ত চীনজুড়ে ভাইরাসটির মোট ২৫টি সংক্রমণ রেকর্ড করেছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
চীনের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (চায়না সিডিসি) মঙ্গলবার তাদের অফিসিয়াল উইচ্যাট অ্যাকাউন্টে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, “স্থানীয় সাপ্তাহিক প্রতিবেদনে কেপি-টু সংক্রমণের অনুপাত ০.০৫ শতাংশ থেকে ০.৩ শতাংশের মধ্যে রয়েছে, যা খুবই কম। চীনে বর্তমানে বিদ্যামান জেএন-ওয়ান ভ্যারিয়েন্টের সাথে সংযুক্ত হয়ে নতুন কোনো মহামারী সৃষ্টির সক্ষমতা নেই কেপি-টু ভ্যারিয়েন্টের।”
৩ মে থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কেপি-টু ভ্যারিয়েন্টের উপর নজ রাখা শুরু করেছে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও থাইল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়েছে নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট।
আমেরিকা সিডিসি জানিয়েছে, বর্তমানে সেখানে কোভিড সংক্রমণের মধ্যে আনুমানিক ২৮.২ শতাংশ সংক্রমণের জন্য দায়ী কেপি-টু ভ্যারিয়েন্ট। থাইল্যান্ডে গত সপ্তাহে কেপি-টু ভ্যারিয়েন্টের নয়টি সংক্রমণের তথ্য পাওয়া গেছে।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট অ্যান্ড্রু পেকোসের মতে, এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের লক্ষণগুলো আগেরগুলোর থেকে ব্যতিক্রম নয়। তবে হার্ড ইমিউনিটির কারণে মানবদেহ এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।