ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি ড্যানিয়েল নোবোয়া সহিংসতায় মৃত্যু এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের উর্ধ্বগতি মোকাবেলায় সাতটি প্রদেশে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। জরুরি অবস্থা জারিকৃত প্রদেশগুলো হল গুয়াস, এল ওরো, সান্তা এলেনা, মানাবি, সুকুম্বিওস, ওরেলানা, লস রিওস এবং আজুয়ায়ের। এই পদক্ষেপের লক্ষ্য ক্রমবর্ধমান সহিংসতা রোধ করা এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো।
মানবাধিকার সংস্থাগুলো নতুন জরুরি ক্ষমতার অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহারের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) জানুয়ারি থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত অসংখ্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের উল্লেখ করে “অভ্যন্তরীণ সশস্ত্র সংঘাত” প্রত্যাহার করার জন্য রাষ্ট্রপতি নোবোয়াকে আহ্বান জানিয়েছে।
সাম্প্রতিক সহিংসতা বৃদ্ধির জন্য মূলত মাদক চক্রের কারণে কলম্বিয়া এবং পেরু থেকে ইকুয়েডর হয়ে কোকেন পাচার করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট নোবোয়া এর আগে এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে পুলিশ ও সামরিক অভিযান জোরদার করতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
অপহরণের মতো অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে দেশটিতে। সরকার নিরাপত্তা সংকট মোকাবেলা এবং ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলে শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
Source: https://www.dw.com/en/ecuador-state-of-emergency-declared-in-seven-provinces/a-69155318