গত রবিবার হেলিকপ্টার দূর্ঘটনায় নিহত ইরানের সাবেক প্রেসিডেন্ট রাইসি তার নিজ জন্মশহর মাশহাদে চিরানিদ্রায় শায়িত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাইসিকে শেষ বিদায় জানাতে মাশহাদে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় ত্রিশ লাখ সমর্থক।
এর আগে ইরানের তাবরিজ, কোম, তেহরান এবং বিরজান্দ শহরে শেষ বিদায় জানান তার সমর্থকরা। পরে সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির দেহ শিয়া মতাদর্শীদের অষ্টম সর্বোচ্চ নেতা ইমাম রেজার মাজারে একটি সমাধিতে নামানো হয়।
গত রবিবার তাবরিজে একটি তেল শোধনাগার উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময় দেশটির পার্বত্য উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে প্রাণ হারান ৬৩বছর বয়সী রাইসি। একই দূর্ঘটনায় ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ানসহ আরও ছয়জনের প্রাণহানি ঘটে।
মর্মান্তিক এই দূর্ঘটনায় বিশ্বের অনেক দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা ইরানের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়েছেন। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়াহ অংশ নেন তেহরানের জানাজায়। সেই সাথে ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া’ আল-সুদানী, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং তিউনিসিয়ার রাষ্ট্রপতি কাইস সাইদ সহ পশ্চিম এশিয়া এবং এর বাইরে প্রায় ৬০ টি দেশের রাষ্ট্রনায়করা পরে একটি স্মরণসভায় অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার রাইসিকে বিদায় জানাতে সাদা ফুল, কালো পতাকা, রাইসির ছবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে মাশহাদের রাস্তায় আসেন সমর্থকরা। এসময় অনেকে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন প্রিয় নেতার মৃত্যুতে।