শুক্রবার সিরিয়ার কুর্দি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে এক নারী ও তিন শিশুকে ব্রিটিশ প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেছে। সূত্রটি জানায়, তাদেরকে মিলিট্যান্টদের পরিবারের সদস্যদের জন্য নির্ধারিত একটি ক্যাম্পে রাখা হয়েছিল।
দায়েশ গ্রুপকে সিরিয়ার শেষ ঘাঁটি থেকে বিতাড়িত করার পাঁচ বছর পরেও কুর্দি-নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পশ্চিমা দেশগুলির নাগরিকসহ কয়েক হাজার মিলিট্যান্ট পরিবারের সদস্যরা এখনো বন্দী শিবিরে অবস্থান করছে।
ব্রিটিশ প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক বৈঠকের পর চার ব্রিটিশ নাগরিককে হস্তান্ত করে কুর্দি প্রশাসন। ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন সিরিয়ায় যুক্তরাজ্যের রাষ্ট্রদূত অ্যান স্নো।
কুর্দি প্রশাসনের এক সূত্র এএফপি-কে জানিয়েছে, ওই চার ব্রিটিশ নাগরিককে রোজ ক্যাম্পে বন্দী করে রাখা হয়েছিল, যেখানে মিলিট্যান্টদের পরিবারের সদস্যদের রাখা হয়।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ব্রিটেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কর্মকর্তারা সিরিয়া থেকে বেশ কয়েকজন ব্রিটিশ নাগরিককে যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করেছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রলায়ের এক মুখপাত্র বলেন, “এই প্রত্যাবাসন দীর্ঘস্থায়ী নীতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা জাতীয় নিরাপত্তা সহ সমস্ত প্রাসঙ্গিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।”
এর আগে গত ৭মে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের ১১ জন নাগরিককে উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার বন্দী শিবির থেকে ফিরিয়ে নিয়েছে। একই অপারেশনে ছয় কানাডিয়ান নাগরিক, চার ডাচ নাগরিক এবং এক ফিনিশ নাগরিককে দেশে ফিরতে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন। ফেরত আসা বন্দীদের মধ্যে আটজনই শিশু ছিল, বলে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
গত ডিসেম্বরে, কুর্দি প্রশাসন যুক্তরাজ্যের কাছে পাঁচ শিশুসহ এক নারীকে হস্তান্তর করেছিল।
তবে কুর্দি কর্তৃপক্ষের বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও, বেশ কয়েকটি পশ্চিমা দেশ তাদের নাগরিকদের ক্যাম্প থেকে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করেছে। এরমধ্যে রয়েছে সাবেক ব্রিটিশ নাগরিক শামীমা বেগম। দায়েশের এক যোদ্ধাকে বয়ে করে ১৫বছর বয়সে দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর তার নাগরিকত্ব বাতিল করে যুক্তরাজ্য।
Source: https://www.arabnews.com/node/2516491/middle-east