আশ্রিত সিরিয়ান শরণার্থীদের তাদের নিজ দেশে ফেরানোর প্রচেষ্টায় আরও গতি আনতে উদ্যোগ নিয়েছে লেবানন সরকার। এই লক্ষ্যে সিরিয়ার সরকারের সাথে সরাসরি আলোচনা করার জন্য একটি মন্ত্রিসভা কমিটি গঠন করেছে দেশটি।
মঙ্গলবার মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। লেবাননের উপ-প্রধানমন্ত্রী সাদেহ আল-শামি এই কমিটির নেতৃত্ব দেবেন, যার প্রধান লক্ষ্য পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে গতিশীল করা।
সোমবার ব্রাসেলসে সিরিয়া অঞ্চলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনের পর প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি বলেন, সিরিয়ান শরণার্থী ইস্যুতে এই প্রথমবারের মতো লেবাননের একটি “স্পষ্ট এবং নির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা” রয়েছে।
এসময় মিকাতি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বু হাবিব ব্রাসেলস সম্মেলনে সিরিয়ায় নিরাপদ অঞ্চল খুঁজে বের করার আহবান জানিয়েছেন যেন শরণার্থীদের প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা যায়।
এর আগে জর্ডান, ইরাক এবং মিশরসহ আরব অঞ্চলের মন্ত্রীদের সাথে একত্রে সিরিয়ার প্রাথমিক অবস্থা পুনরুদ্ধারে পরিকল্পনা গ্রহণের আহবান জানানো হয়। তবে সংঘাত নয়, সহযোগিতার ভিত্তিতেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার মূল লক্ষ্য তাদের। সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে আসছে দেশগুলো।
ব্রাসেলস সম্মেলনের শেষে আন্তর্জাতিক দাতারা সিরিয়ার ভিতরে ও আরব অঞ্চলে দেশটির শরণার্থীদের জন্য প্রায় সাড়ে পাঁচ বিলিয়ন সহায়তা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, এছাড়াও শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া দেশগুলোর জন্য স্বল্প সুদে আড়াই বিলিয়নেরও বেশি ঋণ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে দাতা সংস্থাগুলো।
লেবাননে বর্তমানে প্রায় দুই মিলিয়ন শরণার্থী রয়েছে বলে দাবি দেশটির। স্থানীয় লেবানিজ ফোর্সেস পার্টির কর্মকর্তা পাসকাল সুলেইমানের অপহরণ ও হত্যার পর সিরিয়ায়ন শরণার্থীদের উপর ক্ষোভ বেড়েছে দেশটির। গত দুই মাস ধরে সিরিয়ান শরণার্থীদের উপর কাজের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে লেবাননের সরকার।
Source: https://www.arabnews.com/node/2518786/middle-east