আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বুলগেরিয়ার নির্বাচন। আর নিবার্চনকে ঘিরেই বেড়ে উঠেছে দেশটির ভবিষ্যত গণতন্ত্রের অবস্থা নিয়ে আশংকা!
নির্বাচনে আগের মতোই সাবেক প্রধানমন্ত্রী বোরিসভের দলের সাথে জোট বেঁধেছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী ডেলিয়ান পেভস্কির ডিপিএস দল। বুলগেরিয়ার দুর্নীতিবিরোধী দলগুলোর মতে, ডেলিয়ান পেভস্কি বুলগেরিয়ার রাষ্ট্রের ওপর দখলদারিত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছেন। দূর্নীতির দায়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাকে নিষিদ্ধ করেছে। দেশটির সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী নিকোলাই ডেনকভ পেভস্কিকে বুলগেরিয়ার ৬.৫ মিলিয়ন মানুষের জন্য সবচেয়ে বড় দুর্যোগ হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
আগামী ৯ জুনের নির্বাচনে প্রধান রাজনৈতিক লড়াইয়ে বিরোধী দলের মূল ইস্যু হচ্ছে আদালত এবং নিরাপত্তা পরিষেবার উপর পেভস্কির প্রভাব। ‘ইয়েস বুলগেরিয়া’ দলের নেতা হ্রিস্তো ইভানোভের মত, এই নির্বাচন পেভস্কির দখল থেকে মুক্ত হওয়ার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে “প্রজাতন্ত্রের কার্যকারিতা” ঝুঁকির মধ্যে চলে যাবে।
তবে এতটাও সহজ নয় দূর্নীতিবাজ পেভস্কির বিরুদ্ধে লড়াই করা। দুর্নীতিবিরোধী “উই কন্টিনিউ দ্য চেঞ্জ” দলের সাবেক প্রধানমন্ত্রী কিরিল পেটকভ তার নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিনেই পেভস্কির বাধার সম্মুখীন হন। প্রচারণা চালানোর জন্য একটি বিলবোর্ড কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন তারা। পরে সেই কোম্পানি দলের ৫০০টি পোস্টার লাগাতে অস্বীকার জানায়।
পোস্টারে পেভস্কি ও বোরিসভের ছবি নিয়ে একটি দূর্নীতিবিরোধী কার্টুন ছিল, যেখানে পেভস্কিকে ফুটবলার ও বোরিসভকে কুমড়া সদৃশ ফুটবল হিসেবে দেখানো হয়। বুলগেরিয়ার রীতিতে কুমড়াকে ফাঁকা মাথার প্রতীক ধরা হয়। পোস্টারের মূল বক্তব্য ছিল, পেভস্কি ফুটবলের মতো কন্ট্রোল করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বোরিসভকে।
মঙ্গলবার বোরিসভের জিইআরবি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করে “উই কন্টিনিউ দ্য চেঞ্জ” দলের পোস্টার সরিয়ে ফেলার আদেশ দেয়ার জন্য।