রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর তৃতীয়বারের মতো ইউক্রেন সফরে এসে দেশটির জন্য ৫০কোটি ইউরোর সামরিক সহায়তা ঘোষনা করলেন জার্মানির প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস। ওডেসার দক্ষিণ বন্দরে এক সফরে এসে এই ঘোষণা দেন পিস্টোরিয়াস। নিরাপত্তাজনিত কারণে সফরের বিষয়টি সন্ধ্যা পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছিল।
এসময় তিনি বলেন, “রাশিয়ার বাহিনী ফ্রন্টলাইনে ইউক্রেনের বাহিনীকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করছে। এই চাপ সামলানোর সক্ষমতা রয়েছে ইউক্রেনের।”
নতুন ঘোষিত সামরিক সহায়তা প্যাকেজের মধ্যে মধ্যম-পরিসরের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য গোলাবারুদ এবং ক্ষুদ্র-পরিসরের এসএলএস ক্ষেপণাস্ত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এছাড়াও আর্টিলারি সিস্টেমের জন্য খুচরা যন্ত্রাংশ এবং প্রায় এক মিলিয়ন রাউন্ড ছোট গোলাবারুদ থাকবে এই প্যাকেজে। যুক্তরাষ্ট্রের পরে জার্মানি ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ।
এদিকে ইউক্রেনের ফ্রন্টলাইন সৈন্যরা নতুন রুশ আক্রমণের মুখে গোলাবারুদ স্বল্পতায় ভুগছে। এই মাসের শুরুতে খারকিভ অঞ্চলে নতুন আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। ইউক্রেনের সামরিক কমান্ডাররা বৃহস্পতিবার জানান, রাশিয়ার সৈন্যরা খারকিভের উত্তরে পুনরায় সমাবেশ করছে।
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান ওলেক্সান্ডার সিরস্কি তার ফেসবুক পেজে বৃহস্পতিবার জানান, রাশিয়া খারকিভ অঞ্চলে তার সৈন্য সংখ্যা বাড়াচ্ছে। সেখানে আক্রমণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে মস্কোর বাহিনী। জবাবে অঞ্চলটিতে রিজার্ভ বাহিনী পাঠিয়েছে ইউক্রেন।
রাতে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এক ভাষণে জানান, নতুন সমঝোতার মাধ্যমে এয়ার ডিফেন্স এবং ড্রোন উৎপাদনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। এসময় তিনি বলেন, “আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সহযোগী দেশগুলো থেকে কিছু নিশ্চয়তা আমরা ইতিমধ্যে পেয়েছি। এখন মূল বিষয় হল এগুলো সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করে আরো প্রাসঙ্গিক চুক্তিতে অগ্রসর হওয়া।”