গাজা যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মালদ্বীপ সরকার। সাদা বালির সৈকত এবং বিলাসবহুল রিসোর্টের জন্য পরিচিত ভারত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জে জনরোষের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রেসিডেন্ট অফিসের এক বিবৃতিতে, প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু ইসরায়েলি পাসপোর্টধারীদের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানানো হয়। যদিও নতুন আইনের কার্যকারিতা কবে থেকে শুরু হবে তা স্পষ্ট করা হয়নি। একই সাথে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশে একটি জাতীয় তহবিল সংগ্রহ অভিযানেরও ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুইজ্জু।
গত বছর প্রায় ১১,০০০ ইসরায়েলি মালদ্বীপ সফর করেছে, যা দেশটিতে আগত মোট পর্যটকের ০.৬ শতাংশ। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই বছরের প্রথম চার মাসে মালদ্বীপে আগত ইসরায়েলিদের সংখ্যা ৫২৮ জনে নেমে এসেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৮৮ শতাংশ কম।
মালদ্বীপের বিরোধী দল এবং সরকারের মিত্ররা গাজার যুদ্ধের প্রতিবাদ হিসেবে ইসরায়েলিদের নিষিদ্ধ করার জন্য মুইজ্জুর উপর চাপ দিচ্ছিল।
১৯৯০ দশকের শুরুর দিকে ইসরায়েলি পর্যটকদের উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছিল মালদ্বীপ। ২০১০সালে মালদ্বীপের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করার চেষ্টা চালায় দেশটি। তবে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদের পতনের পর সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের প্রচেষ্টা ভেস্তে যায়।
নিষেধাজ্ঞার প্রতিক্রিয়ায়, ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র মালদ্বীপে অবস্থানরত নাগরিকদের দেশটি ত্যাগ করার আহবান জানিয়েছেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, “মালদ্বীপে অবস্থানরত ইসরায়েলি নাগরিকদের মালদ্বীপ ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ তারা যদি কোনো সমস্যায় পড়েন তবে আমাদের পক্ষে সহায়তা করা কঠিন হবে।”