দক্ষিণ আফ্রিকার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জোট ভিত্তিক সরকারের আলোচনা শুরু হয়েছে। রবিবার দেশটির ইলেক্টোরাল কমিশনের আনুষ্ঠানিক ফলাফলে দেখা যায়, কোনো একক দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি।
এবারের সংসদীয় নির্বাচনে দক্ষিণ আফ্রিকার মোট ভোটারের ৫৮.৬ শতাংশ ভোট প্রদান করেছে। এরমধ্যে ক্ষমতাসীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস-এএনসি ৪০ শতাংশের সামান্য বেশি ভোট পেয়েছে।
এই নির্বাচনে এএনসি ৪০০ আসনের সংসদে ১৫৯টি আসন পেয়েছে, যা গত নির্বাচনের ২৩০ আসন থেকে কম। বিরোধী দল ডিএ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়ে ৮৭টি আসন নিজেদের দখলে নিয়েছে। অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার নতুন দল এমকে পার্টি পেয়েছে ৫৮টি আসন।
জোহানেসবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক প্যাট্রিক বন্ডের মতে, এএনসি তাদের কেন্দ্রীয় বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্সের সাথে জোট করবে কিনা সেটি অনেকটাই সন্দেহের মধ্যে রয়েছে।
এদিকে জোট ভিত্তিক সরকারে সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসাকেই আবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেখতে চায় এএনসি। তবে এই নিয়ে তাদের মত পার্থক্য রয়েছে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে থাকা ডিএ ও এমকে পার্টির সাথে। দল দুটির কেউই রামাফোসাকে দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় রাখতে আগ্রহী নয়। সেক্ষেত্রে কম আসন পাওয়া ছোট দলগুলিকে নিয়ে জোট সরকার গঠনের দিকে ঝুঁজতে পারে এএনসি।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু করে দেশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। তাই জোট সরকার গঠনে অল্প সময়ে অন্য দলগুলোর সাথে বিবাদ মেটাতে কাজ করতে হবে এএনসিকে।