অবৈধভাবে নির্মানের অভিযোগে সিলগালা করে দেয়া পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ-পিটিআই এর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। মঙ্গলবার ক্যাপিটাল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি-সিডিএ কে অবিলম্বে এই আদেশ কার্যকর করার জন্য বলা হয়। মামলার বিচারকার্য শেষে বিচারপতি থামান রিফাত ইমতিয়াজ এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে উল্লেখ করা হয়, “সিডিএ এর পাঠানো শোকজ নোটিশের উপর ভিত্তি করে সিলগালা করার যে আদেশ দেয়া হয়েছিল সেগুলো যুক্তিযুক্ত ছিল। কিন্তু নোটিশগুলো পূর্ববর্তী মালিক সরতাজ আলিকে পাঠানো হয়েছিল। প্রমাণ অনুযায়ী, সিলগালা করা সম্পত্তি ২০২০সালের জুলাই মাসে পিটিআই এর নামে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু সিডিএ চিঠি বর্তমান মালিকের ঠিকানায় না পাঠিয়ে পূর্ববর্তী মালিকের ঠিকানায় পাঠানোর কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।”
এছাড়াও মামলায় প্রমাণ হিসেবে শোকজ নোটিশের রসিদের প্রমাণ দেখাতে পারেনি সিডিএ। সে কারণে সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে পিটিআই-এর কেন্দ্রীয় কার্যালয় খুলে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পিটিআইয়ের পক্ষে আবেদনকারী আইনজীবী শোয়েব শাহীন এবং উমাইর বালুচ এই মামলা লড়েন। শাহীন যুক্তি দেন, সিডিএ তাদের রেকর্ডে সব নোটিশ অন্তর্ভুক্ত করেছে কিন্তু বর্তমান নোটিশের উল্লেখ করেনি।
তবে সিডিএর আইনজীবী হাফিজ আরাফাতের দাবি, পিটিআই বাণিজ্যিক জমি কিনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করেছে। এছাড়াও অনুমোদন ছাড়াই অতিরিক্ত একটি তলা নির্মাণ করেছে পিটিআই।
এর আগে গত ২৪ মে ভবন বিধিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগে সেক্টর জি-৮৪ তে অবস্থিত পিটিআই কেন্দ্রীয় কার্যালয় সিলগালা করে সিডিএ। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে ভবনের অবৈধভাবে নির্মিত অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়।
অভিযান চলার সময় পিটিআই কর্মী এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি চলে, গ্রেপ্তার করা হয়ে ইসলামাবাদ পিটিআই সভাপতি আমির মুগলকে।
Source: https://tribune.com.pk/story/2469684/ihc-orders-to-de-seal-pti-secretariat-in-islamabad