গাজার নুসেইরাতে শরণার্থী শিবিরে পরিণত হওয়া এক স্কুলে বৃহস্পতিবার মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। হামলায় এখনো পর্যন্ত ৪০জন নিহত ও ৭৩জন আহত হয়েছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৪ শিশু এবং ৯ নারী রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন কর্মকর্তারা।
এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, নুসেইরাত এলাকায় ইউএনআরডব্লিউএ স্কুলে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে হামলা চালিয়েছে আইডিএফ। স্কুলটিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০জন হামাস যোদ্ধা অবস্থান করছিল বলে অভিযোগ আইডিএফের। তবে হামলার আগে বেসামরিক লোকদের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে যথেষ্ট প্রস্তুতি নেয়ার দাবি করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩০জনের মরদেহ দেইর আল-বালাহের আল-আকসা শহীদ হাসপাতালে পৌঁছানো হয়েছে। এছাড়াও পৃথক আরেক হামলায় আরও ৬টি মরদেহ হাসপাতালে এসেছে। হাসপাতালের রেকর্ড এবং অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের এক প্রতিবেদক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গাজা যুদ্ধের শুরু থেকেই শরণার্থী শিবির হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিলো নুসেইরাতের ইউএনআরডব্লিউএ স্কুল।
এদিকে নুসেইরাতে হামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অস্ত্র ব্যবহার করেছে আইডিএফ, এমনটাই জানিয়েছে আল জাজিরার অ্যানালাইসিস ইউনিট। হানিওয়েল নামের একটি আমেরিকান অস্ত্র নির্মাতা এই অস্ত্রের বিভিন্ন অংশ নির্মান করেছে বলে উঠে এসেছে তাদের বিশ্লেষণে। সঠিক লক্ষ্যে আঘাত করতে সহায়তা করে, এমন ক্ষেপণাস্ত্র ও সেন্সর তৈরিতে সুনাম রয়েছে সংস্থাটির।
আল জাজিরার অ্যানালাইসিস ইউনিটের দাবি, নুসেইরাতে হামলায় ব্যবহৃত অস্ত্রের ধ্বংসাবশেষ থেকে অস্ত্রটির প্রস্তুতকারক ও ক্যাটাগরি নাম্বার পাওয়া গেছে, সেটি সরাসরি হানিওয়েলের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ২০১৪ সালে শুজাইয়াতে এক ফিলিস্তিনি বাড়িতে ইসরায়েলি বোমা হামলার পরেও একই ধরনের অস্ত্রের অংশ পাওয়া গিয়েছিল।
২০০০সাল থেকেই আইডিএফকে গাইডেড মিসাইল বিক্রি করছে হানিওয়েল। এ ব্যাপারে তাদের সাথে আলজাজিরা যোগাযোগ করলেও এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি সংস্থাটি।
Source: https://www.arabnews.com/node/2524741/middle-east