কেবল যুদ্ধ চলাকালীন সময়েই হামাসের সাথে চলবে জিম্মি মুক্তির আলোচনা, এমনটাই ঘোষণা করেছেন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট। বিমানে গাজা ও লেবানন সীমান্ত পর্যবেক্ষণের সময় এ মন্তব্য করেন তিনি। এসময় তিনি বলেন, “শত্রুর বিরুদ্ধে আমাদের আক্রমণ চলতেই থাকবে। যেকোন ধরনের আলোচনা হবে যুদ্ধের মধ্যেই।”
অন্যদিকে, হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া বুধবার এক বিবৃতিতে বলেন, গাজা যুদ্ধ পুরোপুরি থামানো এবং ইসরায়েলি বাহিনী সম্পূর্ণ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত কোন জিম্মি মুক্তি আলোচনা করতে রাজি নয় হামাস।
কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বারবার বলছেন, হামাসকে নির্মূল না করা পর্যন্ত কোন জিম্মি মুক্তি চুক্তি মেনে নেবেন না তিনি।
এর আগে নেতানিয়াহুর যুদ্ধ মন্ত্রিসভা জিম্মি চুক্তি সংক্রান্ত এক প্রস্তাবে নিজেদের সম্মতি জানিয়েছে। এই চুক্তি বাস্তবায়ন হলে যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হতে পারে বলে ধারণা রয়েছে। তবে নিজেদের লক্ষ্য পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কোনো ধরনের চুক্তিতে যেতে রাজি নয় নেতানিয়াহু সরকার।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গাজা যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, যার বিস্তারিত অংশ সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশ পেয়েছে। আর তাতেই ক্ষেপেছে নেতানিয়াহু জোটের কট্টর ডানপন্থী নেতারা। যেকোনো ধরনের যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের দিকে এগোলে জোট ভেঙ্গে দেয়ার হুমকি দিয়েছে তারা।
এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি বাস্তবায়নে উভয় পক্ষকে চাপ দিতে মধ্যপ্রাচ্য সফর করছেন মার্কিন সিআইএ প্রধান উইলিয়াম বার্নস এবং হোয়াইট হাউসের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রেট ম্যাকগার্ক। দোহায় কাতারের প্রধানমন্ত্রী ও মিশরের গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানের সাথে বুধবার এক আলোচনায় বসেন বার্নস। পরবর্তীতে হামাসের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে বৈঠক করে মধ্যস্থতাকারীরা। অপরদিকে একই এজেন্ডায় কায়রোতে মিশরের এক প্রতিনিধি দলের সাথে আলোচনা করেছেন ম্যাকগার্ক। এসময় তিনি গাজা ইস্যুতে হামাসের উপর প্রভাব খাটাতে মিশরের সরকারকে আহবান জানান।
কিন্তু যুদ্ধবিরতি নিয়ে হামাসের কোনো অফিশিয়াল প্রতিক্রিয়া না পাওয়া পর্যন্ত মিশরে নিজেদের প্রতিনিধি দল না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেতানিয়াহুর যুদ্ধ মন্ত্রিসভা।