শিশু নির্যাতনের অভিযোগে জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর মূখপাত্র মেজর জেনারেল হিদাই জিলবারম্যানকে এ ব্যাপারে নোটিশ পাঠিয়েছে জাতিসংঘ।
ইসরায়েলি পত্রিকা ইডিয়ট আহরোনোথ জানিয়েছে, ইসরায়েলের ব্যাপক প্রচেষ্টার পরেও এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গুতেরেস। আগামী সপ্তাহে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মধ্যে বিতরণ করা প্রতিবেদনে ইসরায়েলকে তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে সম্মতি জানিয়েছেন তিনি। আগামী ২৬ জুন এই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে নিরাপত্তা পরিষদে।
কালো তালিকায় নিজেদের নাম যুক্ত হলে, অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার দিকে যেতে পারে বলে আশংকা করছে ইসরায়েল। শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি ভার্জিনিয়া গাম্বার বার্ষিক প্রতিবেদনে ২০২৩সালের সকল ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করেছেন। এবারে প্রতিবেদনে অক্টোবর থেকে গাজায় যুদ্ধের কারণে শিশুদের উপর হামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনের সকল তথ্য জাতিসংঘের নিজস্ব সংস্থা ও মাঠ পর্যায়ের সূত্র থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ফলে আন্তর্জাতিকভাবে চাপে পড়তে পারে ইসরায়েল। কারণ সাধারণ পরিষদ, নিরাপত্তা পরিষদ, আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতসহ জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা প্রতিবেদনটিকে গুরুত্বের সাথে মূল্যায়ন করে।
তালিকায় আফগানিস্তান, কঙ্গো, মালি, মিয়ানমার, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, সিরিয়া এবং আল-কায়েদা, দাইশ, আল-শাবাব এবং বোকো হারামের মতো গোষ্ঠীগুলির নামও রয়েছে।
কালো তালিকায় অন্তর্ভুক্তির ফলে জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি কার্যালয় থেকে ইসরায়েল সম্পর্কে নির্দিষ্ট প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হবে নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপনের জন্য।
এর আগে গতবছর রাশিয়ার সামরিক বাহিনীকে “কালো তালিকায়” অন্তর্ভুক্ত করে জাতিসংঘ। তখন ইসরায়েলকে বাদ দেয়ায় প্রচুর সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় গুতেরেসকে।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের যুদ্ধবিরতির দাবি উপেক্ষা করে গত অক্টোবর থেকে গাজায় নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। এ পর্যন্ত যুদ্ধে ৩৬,৬০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যার অধিকাংশই নারী ও শিশু। Source: https://www.middleeastmonitor.com/20240607-un-adds-israel-to-blacklist-for-harming-children-in-conflict-zones/