কেনিয়ার রাষ্ট্রপতি উইলিয়াম রুটোর কর বৃদ্ধির বিলের প্রতিবাদে, বিক্ষোভকারীরা সংসদ আক্রমণের চেষ্টা করলে পুলিশ গুলি চালায়, যার ফলে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত হয়।
নাইরোবিতে বিক্ষোভকারীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সংসদ এলাকায় প্রবেশের চেষ্টা করে। সহিংসতায় সংসদ ভবনের অভ্যন্তরে অগ্নিকান্ডের ঘটনাও ঘটে। সংসদে আক্রমণকালে পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করেও বিক্ষোভকারীদের সরাতে ব্যর্থ হলে গুলি চালায়। পরে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানান, প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলার উদ্দ্যেশ্যে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন শহরে প্রতিবাদ ও সংঘর্ষ হয়েছ। দেশটির অনেক নাগরিকই রুটোর পদত্যাগ এবং কর বৃদ্ধির বিরোধিতা করছে। মঙ্গলবারের বিক্ষোভ সহিংসতায় রূপ নেয় এবং নাইরোবি, এলডোরেট, মোম্বাসা, কিসুমু এবং গারিসায় সংঘর্ষ হয়।
কেনিয়া মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এই ঘটনায় প্রায় ৩১ জন আহত হয়েছে। রুটো আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের চাপের মধ্যে, ঘাটতি কমানোর চেষ্টায় থাকলেও, জনগণের অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করতে হিমশিম খাচ্ছেন। উল্লেখ্য, তার উত্থাপিত ফাইনান্স বিলটি অতিরিক্ত ২.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার কর সংগ্রহের চেষ্টা করছে।
বিরোধী দলের নেতারা রুটোর পদত্যাগ দাবি করেছেন এবং বিলটি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছেন। সরকার তার সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা দেখালেও, বিক্ষোভকারীরা এতে সন্তুষ্ট নয়।
সংঘর্ষের ব্যাপারে পুলিশ কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হয় নি। গত সপ্তাহের দুই দিনের বিক্ষোভে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমেছিল। এখন বিক্ষোভকারীদের প্রধান দাবি রুটোর পদত্যাগ।