জো বাইডেনের বিতর্কের ব্যর্থতার প্রভাব নিয়ে বিভিন্ন মহলে চর্চা অব্যাহত রয়েছে। প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য পরীক্ষার আহ্বানও জানানো হচ্ছে এবং তা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলমান রয়েছে। বিখ্যাত নিউরোসার্জন সঞ্জয় গুপ্ত শুক্রবার বাইডেনকে নিউরোলজিক্যাল পরীক্ষার জন্য আহ্বান জানান।
গুপ্ত সিএনএনে লিখেন, “নিউরোলজিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, আমরা তাঁর বিভ্রান্তিকর আচরণ, কথা বলার মাঝে মনোযোগ হারানো, থেমে থেমে কথা বলা এবং মুখের অভিব্যক্তির অনুপস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন। প্রেসিডেন্টকে মুভমেন্ট ডিসঅর্ডারসহ কিছু ডাক্তারি পরীক্ষা করা উচিত এবং সেই পরীক্ষার ফল জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা উচিত।”
বাইডেনের সাথে সম্প্রতি সাক্ষাতকারীরা জানান, প্রেসিডেন্টের বারবার মনোযোগ হারানোর ঘটনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কেউ কেউ পারকিনসন্স রোগের সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করছেন। যদিও একথার এখন পর্যন্ত কোনো ভিত্তি নেই।
প্রেসিডেন্টের প্রাথমিক ডাক্তার, কেভিন সি ও’কনর, নিউইয়র্ক টাইমসকে জানান, তিনি বাইডেনের সাম্প্রতিক শারীরিক পরীক্ষায় পারকিনসন্স রোগের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ কোনোকিছু দেখেননি। ও’কনর তার রিপোর্টে জানিয়েছেন, বাইডেন তার কাজের জন্য যথেষ্ট সুস্থ রয়েছেন।
উল্লেখ্য, বাইডেনের বয়স ভোটারদের জন্য উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দু হয়েছে। বিতর্কের পারফরম্যান্সের পরপর উদ্বেগলো আরও বৃদ্ধি পায়। অনেকের মতে তিনি সেখানে অসংলগ্ন এবং বিভ্রান্তিকর আচরণ করেন।
বিতর্কের পর নির্বাচন হতে সড়ে দাঁড়ানোর আহবান প্রত্যাখান করেছেন। সেই সাথে নির্বাচনের লড়াইয়ের মাঠে তিনি লড়বেন বলে জানিয়েছেন।
বাইডেনের বয়স নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে, ট্রাম্পের বক্তৃতাগুলোও সমালোচিত হচ্ছে। যেমন, ট্রাম্প একবার ইসরায়েলের আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করেন।
Source: https://www.theguardian.com/us-news/article/2024/jul/05/biden-cognitive-exam-sanjay-gupta