দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে সাঈদ জালিলিকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট হলেন সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মাসুদ পেজেসকিয়ান।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়ে দেয়া প্রথম ভাষনেই জানালেন সামনে ইরানের জন্য রয়েছে কঠিন চ্যালেঞ্জ। তার প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে ইরানিদের একটি সুন্দর এবং উন্নত জীবন ব্যবস্থা প্রদান করা।
দ্বিতীয় দফার নির্বাচনে পেজেসকিয়ান পেয়েছেন ১৬.৬ মিলিয়ন ভোট এবং তার প্রতিপক্ষ সাঈদ জালিনি পেয়েছেন ১৩.৫ মিলিয়ন ভোট। দ্বিতীয় দফার এ নির্বাচনে প্রায় ৩০ মিলিয়নেরও বেশি ভোট কাস্ট হয়েছে। যা প্রথম দফার তুলনায় অনেকটাই বেশি। যেখানে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল প্রায় 61 মিলিয়ন।
পরাজয় মেনে নিয়ে সাঈদ জালিলি জনগণের উদ্দেশ্যে বলেছেন যিনি জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন তাকে অবশ্যই সম্মান জানানো উচিত। তিনি আরো বলেন এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে সাহায্য এবং সহযোগিতার মাধ্যমে ইরানকে আরো শক্তিশালী করা।
প্রথম দফার নির্বাচনে প্রায় ৬০ শতাংশেরও বেশি ইরানি নাগরিক ভোটদান থেকে বিরত ছিল। বিশ্লেষকদের মতে ইরানিরা মনে করছেন ক্ষমতায় যেই আসুক না কেন ইরানের জটিল রাজনৈতিক ব্যবস্থার কারণে তাদের অবস্থার পরিবর্তন হবে না। তাই অনেকেই ভোটদান থেকে নিজেকে বিরত রেখেছে।
তবে সংস্কারপন্থী পেজেসকিয়ান নির্বাচনের আগে বেশ কিছু পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ইরানের পররাষ্ট্রনীতি এবং অর্থনৈতিক অবস্থা পরিবর্তনের বিষয়টি উল্লেখযোগ্য। এখন তার কতটুকু বাস্তবায়ন করতে পারবেন সেটাই দেখার বিষয়।
নির্বাচন শেষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনসহ বেশ কিছু দেশের রাষ্ট্রপ্রধান পেজেসকিয়ানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তবে পশ্চিমা বিশ্ব এখনো পর্যন্ত কোনো ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি।