ইরানের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেসকিয়ান গাজায় ইসরাইলের নিষ্ঠুর ও বর্বর গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেন ইরান কোনো অবস্থাতেই এই কঠিন বিপদের সময় ফিলিস্তিনকে এক ছেড়ে দেবে না।
ইরানের নবির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেসকিয়ান ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাঈল হানিয়েহ-র সাথে ফোনালাপ করেছেন। এসময় তিনি আল মাওয়াসি শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি গণহত্যার জোরালো সমালোচনা করেন। ইসরাইলের এ হামলায় নব্বই ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এসময় আরও অন্তত ৩০০ জন আহত হয়।
পেজেসকিয়ান বলেন ইসরাইলের এ হামলা প্রমাণ করে যে ইসরাইল গণহত্যা বন্ধ করতে রাজি নয়। বরং তারা গণহত্যার মাধ্যমে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন গুলোর মনোবল ভেঙে ফেলতে চায়। কিন্তু তাদের চাওয়াও কখনোই পূরণ হবে না।
তিনি বলেন ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ফিলিস্তিনকে কখনোই এই কঠিন বিপদে একা ছেড়ে দেবে না। তিনি আরও বলেন তার শাসনামলে ফিলিস্তিন ইস্যু সর্বাধিক গুরুত্ব পাবে। এটা এখন ইসলামী বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
অপরপাশ থেকে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ে সর্বপ্রথম পেজেসকিয়ানকে অভিনন্দন জানান। অতঃপর তিনি ইসরাইলের নৃশংস কর্মকাণ্ড পেজেসকিয়ানের কাছে তুলে ধরেন। তিনি বলেন ইসরাইল প্রতিরোধ যোদ্ধাদের শীর্ষ কমান্ডার নিহতের বিষয়ে মিথ্যাচার করছে। এছাড়া নেতানিয়াহু এখন যুদ্ধ বিরতি নিয়েও নতুন সুরে কথা বলছে। যা আগে তিনি মধ্যস্থতাকারীদের বলেন নি।
অন্যদিকে হামাসের এক শীর্ষ নেতা জানিয়েছে ইসরাইলের এ বর্বর হামলার পরও হামাস যুদ্ধ বিরতির আলোচনা বাতিল করে নি। আর ইসরাইলের হামলায় হামাস কমান্ডার মোহাম্মদ দেইফ এর কোনো ক্ষতি হয়েনি। তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।
হামাসের রাজনৈতিক শাখার অন্য এক সদস্য ইজ্জাত এল-রেশিক বলেছেন ইসরাইল যুদ্ধ বিরতি আলোচনা স্থবির করতে চেষ্টা করছে। নৃশংস এই হামলার মাধ্যমে ইসরাইল যুক্তরাষ্ট্র ও আরব মধ্যস্থতাকারীর দেশ গুলোকে ভিন্ন পথে পরিচালিত করতে চেষ্টা করছে।
বিশ্বের অধিকাংশ দেশ ও জাতিসংঘ নিরাপদ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলের এই বর্বর হামলার নিন্দা জানিয়েছে।
2. https://www.arabnews.com/node/2549446/middle-east