পাঞ্জাবের প্রাদেশিক রাজধানীর একটি সন্ত্রাস বিরোধী আদালত (এটিসি) সোমবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে। এর আগে রবিবার ইমরান খানকে ৯মে সম্পর্কিত বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী, গ্রেপ্তারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে আদালতে উপস্থিত করতে হবে। বর্তমানে ইমরান খান ‘আদত’ মামলায় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে আটক রয়েছেন। সোমবার হোয়াটসঅ্যাপ ভিডিওর মাধ্যমে এটিসি প্রশাসনিক বিচারক খালিদ আরশাদের আদালতে উপস্থিত হন তিনি।
বিচারকার্যের শুরুতে আদালত প্রশ্ন করেন কেন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে আদালতে উপস্থিত করা হচ্ছে না। জবাবে, সরকারী আইনজীবী নিরাপত্তার কারণ উল্লেখ করে জানান, এসম্পর্কিত একটি সম্পূরক রিপোর্টে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী, অ্যাডভোকেট আজহার সিদ্দিক, দাবি করেন, ইমরান খানকে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত করতে বাধা দেওয়ার কোনো আদেশ নেই। ইমরানের আইনি দলের আরেক আইনজীবী উসমান রিয়াজ, যুক্তি দে, আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তারের ২৪ ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থিত করতে হবে, যা এখানে অনুসরণ করা হয়নি।
এসময় বিচারক মন্তব্য করেন, সরকার এসম্পর্কিত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করলে শুনানি চলতে পারে। কিন্তু এজন্য আদালতকে আদিয়ালা কারাগারে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেন ইমরানের আইনজীবী। তিনি দাবি করেন, সরকার আদালতকে বেআইনি কাজে ভুল পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।
শুনানির সময়, প্রসিকিউটর দাবি করেন, ইমরান খানের আইনজীবীরা আদালতের উপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। প্রসিকিউটরের অভিযোগের জবাবে পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার আইনজীবী প্রতিবাদ করে বলেন, আদালত ধৈর্যের সাথে তাদের কথা শুনেছে এবং এই অভিযোগ ভিত্তিহীন।
শুনানি শেষে প্রসিকিউটর মুহাম্মদ আজহার ৯মে’র ১২টি মামলায় ইমরানের ৩০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। রিমান্ডের পক্ষে ভয়েস ম্যাচিং, পলিগ্রাফ পরীক্ষা এবং ফটোগ্রামেট্রিক পরীক্ষা করা প্রয়োজনীয়তার যুক্তি দেন তিনি।
এর প্রতিক্রিয়ায় অনুমানের ভিত্তিতে রিমান্ড দেয়া যায়না বলে প্রতিবাদ জানান ইমরানের আইনজীবীরা। পরে সানাম জাভেদের মামলাকে উদাহরণ দেখিয়ে আদালতে ইমরান খানের মুক্তির আবেদন করেন অ্যাডভোকেট আজহার সিদ্দিক। আজহার সিদ্দিক তার বক্তব্য শেষ করে বলেন, এই মামলার উদ্দেশ্য কেবল পিটিআই প্রতিষ্ঠাতাকে টার্গেট করা এবং দলটি নিষিদ্ধ করা। আদালতকে এই লক্ষ্য অর্জনের উপায় হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
দুই পক্ষের বক্তব্য শুনার পর, বিচারক খালিদ আরশাদ পুলিশি ১০ দিনের শারীরিক রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এসময় ইমরানের আইনজীবীদের মামলাগুলি থেকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন আদালত বাতিল করে।
Source: https://tribune.com.pk/story/2480145/imran-remanded-for-10-days-over-may-9