গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি বর্বরতা শুরুর পর থেকেই লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগরে চলাচলকারী ইসরাইলমুখী সব জাহাজে নিয়মিত হামলা করে আসছে হুথিরা। গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগরে হুথিদের অভিযান নিয়মিত চলছে।
ইসরাইলের আইলাত বন্দরে বাণিজ্যিক জাহাজ নোঙর করার হার মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় বন্দরটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেউলিয়া ঘোষণা করা হয়েছে। হুথিদের নৌপথ অবরোধের কারণে বন্দরটিতে কোনো জাহাজ ভিড়তে পারছে না।
আইলাত বন্দরের সিইও (CEO) গিডিওন গোলবার বলেন এটা শিকার করতেই হবে যে আইলাত বন্দর এখন দেউলিত্বের মধ্যে রয়েছে। গত কয়েক মাসের মধ্যে মাত্র একটি জাহাজ এই বন্দরে এসেছে। তিনি বলেন ইয়েমেনের হুথিরা বেশ কঠোরভাবে আমাদের নৌপথ অবরোধ করে রেখেছে।
তেল আবিব গত বছরের অক্টবরে গাজা যুদ্ধ শুরু করার পর থেকেই বন্দরটি কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে। এমাসের শুরুতে বন্দর কর্তৃপক্ষ ইসরাইল সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা দাবি করেছে।
গোলবার বলেন ইসরাইলগামী হাজাজে হুথিরা আক্রমণ শুরু করার পর থেকেই বন্দরের ৮৫ ভাগ কার্যক্রম সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন এ অবস্থা চলতে থাকলে এখন বন্দরের কর্মীদের ছাঁটাই করতে হবে।
অন্যদিকে ইসরাইলি সংবাদ মাধ্যম দা জেরুসালেম পোস্টের এক এ বলা হয় ভূমধ্যসাগরে ইসরাইলের অপর দুই বন্দর আশডোড ও হাইফা হিজবুল্লাহর সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আশডোড বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন যদি উত্তর ফ্রন্টে হিজবুল্লাহর সাথে ইসরাইলের যুদ্ধ শুরু হয় তবে ইসরাইলের সকল কার্যক্রম আশডোড বন্দর থেকেই পরিচালনা করতে হবে।
ইজরাইল অনেকটা দ্বীপরাষ্ট্রের মত কারণ ইসরাইলের ৯৯ পার্সেন্ট পন্য সাগর পথে আমদানি করা হয়। আশডোড বন্দরের চেয়ারম্যান আরও বলেন বর্তমানে এই বন্দরে পরিবহন করা ৪০ পার্সেন্ট মালামাল আমেরিকা ও ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর প্রয়োজনীয় পণ্য।