ভারত ডেস্ক।।
২০১৯ সালে প্রণয়ন করা বিতর্কিত সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) চার বছর পর কার্যকর করেছে ভারত। সমালোচকরা এই আইনটিকে মুসলিমবিরোধী হিসেবে দাবি করে আসছিলেন। লোকসভা নির্বাচনের আগে গতকাল সোমবার আইনটি কার্যকরের নোটিশ জারি করলো নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার। ২০২৪ সালে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তৃতীয়বার ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য লড়বেন মোদি।
বিজেপির ২০১৯ সালের ইশতেহারের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিল এই আইন। এর ফলে নিপীড়িতদের ভারতের নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ হবে।
২০১৯ সালে পাস হওয়া এই নাগরিকত্ব আইন অনুসারে পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নির্যাতিত সংখ্যালঘুরা যেমন হিন্দু, পারসি, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন ও খ্রিষ্টানরা ভারতের নাগরিকত্ব পাবেন। আপাতত ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতে আশ্রয় নেওয়া এই সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
এমন ঘোষণার পরে সারা ভারতজুড়ে প্রতিবাদ ও নয়া দিল্লসহ বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার পর আইনটি ওই সময় প্রণয়ন করলেও তা কার্যকর করেনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, লোকসভা নির্বাচনের আগেই তার সরকার যেভাবেই হোক সিএএ কার্যকর করবে।
ভারতের মুসলিম গোষ্ঠীগুলো বলছে, সমন্বিতভাবে সিএএ ও প্রস্তাবিত ন্যাশনাল রেজিস্টার অব সিটিজেন আইন ভারতের ২০ কোটি মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক আইন হবে। ফলে তাদের আশঙ্কা, সীমান্তবর্তী কয়েকটি রাজ্যে নথিহীন মুসলিমদের নাগরিকত্ব বাতিল করে দিতে পারে সরকার।
আরও পড়ুন: ভারতীয়দের কাছে মাথা নত করলেন মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট নাশিদ